img

পাকিস্তানি নারীকে প্রেম করে বিয়ের কথা গোপন করার অভিযোগে ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) মুনির আহমেদ নামে ওই সদস্যকে বাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন মুনির। 

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে মুনির দাবি করেন, পাক তরুণী মিনাল খানকে বিয়ে করার জন্য সিআরপিএফের সদর দপ্তরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন মঞ্জুরও করা হয়।

 

কিন্তু সিআরপিএফ সদর দপ্তরের দাবি, মুনিরের আবেদনপত্র তারা পেয়েছিল। কিন্তু তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তার মধ্যেই দপ্তরকে কোনো খবর না দিয়েই গোপনে বিয়ে করেন মুনির। শুধু তা-ই নয়, তার স্ত্রী মিনাল ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ভারতে থেকে গিয়েছেন।

 

পেহেলগাম কাণ্ডের পর যখন পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র, সেই সূত্র ধরেই সিআরপিএফ জওয়ান মুনিরের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তারপরই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় সিআরপিএফ। 

তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুনিরের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে একাধিক গাফিলতির বিষয় ধরা পড়েছে। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

সেই বিবৃতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুনিরকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে সিআরপিএফ।

জম্মুর ঘারোটা এলাকার বাসিন্দা মুনির। ২০১৭ সালে সিআরপিএফে যোগ দেন। ২০২৪ সালের মে মাস থেকে মুনিরের সঙ্গে অনলাইনে সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাকিস্তানের সিয়ালকোটের বাসিন্দা মিনালের। অনলাইনেই তাদের বিয়ে (নিকাহ্‌) হয়।

 

ভিসার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর শেষে স্বল্পমেয়াদি ভিসায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এ দেশে আসেন তিনি।

 

চলতি বছর মার্চের ২২ তারিখে ওই স্বল্পমেয়াদি ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। স্ত্রীকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি আটকাতে জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুনির। স্ত্রী মিনাল খান আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে ফেরার আগে আদালত থেকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ মেলে। আগামী ১৪ মে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আদালতে।

এই বিভাগের আরও খবর