‘মনে হচ্ছে আমাদের মেসি এসেছে’

বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় হামজা চৌধুরী। তাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের লাখো ফুটবল ভক্ত। সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছেন হামজার হাত ধরেই হয়তো বদলে যাবে দেশের ফুটবল। ফিরে আসবে সেই সোনালি দিন।
সমর্থকদের মতো আশায় আছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও।
হামজা দেশের আসার পর থেকেই তাকে একনজর দেখতে বিমানবন্দর থেকে তার গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত সব জায়গায় উপচে পড়া ভিড়। হামজা দেশের ফুটবল ভক্তদের এতটাই বুঁদ করেছেন, ঠিক যেমন ফুটবলবিশ্বকে বুঁদ করে রেখেছেন লিওনেল মেসি। পুরো বিশ্বেই তার ভক্ত অগণিত।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তার চেয়ে মোটেও কম নন হামজা চৌধুরী, এমনটাই মনে করেন জামাল।
বুধবার রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও বললেন, ‘অবশ্যই এটা ঠিক তেমনই, যখন আমি এসেছিলাম। হামজা প্রিমিয়ার লিগে খেলা খেলোয়াড়, আমাদের দলে এসেছে। এটা অনেকটা মনে হচ্ছে আমাদের মেসি এসেছে।
আমি ঠিক এমনটাই অনুভব করছি।’
খুব সহজেই জাতীয় দলে মানিয়ে নিবেন বলে বিশ্বাস করে অধিনায়ক, ‘সে কিভাবে দলে ফিট হবে, আমার মনে হয় সে দারুণভাবেই ফিট হবে। সবাই তাকে স্বাগত জানিয়েছে, সবার হামজার প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে, তারা জানা সে আমাদের দলে জন্য কী বয়ে আনতে পারে। তারা জানে সে আমাদের কী দিতে পারে। সুতরাং আমাদের জন্য আসলে দুর্দান্ত।’
২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে তার অভিষেক ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীত শুনে হামজার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে বলে মনে করেন অধিনায়ক, ‘হামজাকে আপনারা যে অভ্যর্থনা দিচ্ছেন, তা অসাধারণ। এটি সারা বিশ্বের অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে। ২৫ মার্চ, যখন সে জাতীয় সংগীত শুনবে, তখন তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে, আমারও দিয়েছিল।’
জামাল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন যে হামজার দলে থাকা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় শক্তি এবং তার বিশ্বাস যে বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ভারতকে পরাজিত করবে।
যদিও প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলানোর জন্য ফিরিয়ে এনেছে ৪০ বছর বয়সী কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড সুনীল ছেত্রীকে। এই দুজনের মধ্যে কে বেশি দক্ষ খেলোয়াড়—এমন প্রশ্নের জবাবে জামাল দ্বিধা করেননি। ‘আমি মনে করি না যে সুনীল ছেত্রী ও হামজার তুলনা করা সম্ভব। সুনীল তার দেশের জন্য অসাধারণ অবদান রেখেছেন, তবে বাস্তবতা হলো, হামজা একজন প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়,’ বলেন হামজা।