img

ইতালির তুরিনে শীতকালীন স্পেশাল অলিম্পিকস গেমসে ফ্লোর বল ইভেন্টে সোনা জিতেছে বাংলাদেশ। ৪-২ গোলে জেতা ম্যাচে একটি গোল করেছেন অধিনায়ক স্বর্ণা আক্তার। এর আগে ২০২৩ সালে জার্মানির বার্লিনে গ্রীষ্মকালীন স্পেশাল অলিম্পিক গেমসে ফুটবলে দলের হয়ে সোনা জেতার পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের মেয়ে স্বর্ণা। আজ সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টায় সোনাজয়ী দলটি শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে এলে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

 

স্বর্ণা ময়মনসিংহের নান্দাইলের বারুইগ্রাম গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক নুরু মিয়ার মেয়ে। নুরু মিয়ার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে স্বর্ণা তৃতীয়। জন্ম থেকেই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্বর্ণা উপজেলা সেবা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের দশর্ম শ্রেণীতে পড়ে। স্বর্ণার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান আকন্দ জানান,  ছোট থেকেই স্বর্ণার খেলাধূলায় খুব আগ্রহ।

 

স্বর্ণা ছাড়াও তার বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন আরো আটজন শিক্ষার্থী নিয়ে গত চার বছর ধরে বেশ কয়েকবার তিনি প্রশিক্ষণের জন্য বিকেএসপিতে নিয়ে গেছেন। এখন স্বর্ণা দেশের তালিকাভুক্ত খেলোয়াড়। ফ্লোর বলে তার নেতৃত্বে খেলে স্পেশাল অলিম্পকসে সোনা জেতে বাংলাদেশ।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিক দলের প্রধান কোচ জাহিদ হোসেন রাজু কালের কন্ঠকে বলেন,‘পুরো দলেই স্বর্ণা এক ব্যতিক্রম খেলোয়ার।

 

তার ইচ্ছাশক্তি অনেক। সব খেলাতেই তার পারমরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল ছিল উজ্জীবিত। তাকে নিয়ে দেশ ভালো কিছু আশা করতেই পারে।’

 

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন,  ‘স্পেশাল অলিম্পিকস গেমসে খেলতে যাওয়ার আগে স্বর্ণা আমার কাছে এসেছিলেন দোয়া নিতে।

 

আর তখনি বলেছিলাম এই স্বর্ণাই আবার সাফল্য বয়ে আনবে। এখন আমরা স্বর্ণাকে সংবর্ধনা দিব।’

 

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের জন্য আয়োজিত বিশেষ এই গেমস মূলত শীতকালীন দেশগুলোর জন্য। ১০২টি দেশের ৩ হাজারের বেশি খেলোয়াড় এতে অংশ নিয়েছেন। বরফের ওপর বিভিন্ন খেলা হয়। ডিসিপ্লিন মোট আটটি—আলপাইন স্কিইং, ক্রস কান্ট্রি স্কিইং, ডান্সস্পোর্ট, ফিগার স্কেটিং, ফ্লোরবল, শর্ট ট্র্যাক স্পিড স্কেটিং, স্নোবোর্ডিং, স্নোশুজ।। যেসব দেশে তুষারপাত হয় না, তাদের জন্য রাখা হয়েছে ফ্লোর বল, যা অনেকটা হকি খেলার মতো।

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ