শীতের দিনে পোষা প্রাণীর যত্ন
শীতের দিনে নরম কম্বলের নিচে থাকতে কার না ভালো লাগে? আর একই কথা কিন্তু পোষ্যের জন্যও খাটে। শীতের সময়ে ঝেঁকে ঠাণ্ডা পড়লে কম্বলের ওম পছন্দ পোষা প্রাণীর। এই সময়ে পোষ্যদের বিশেষ যত্ন না নিলে তারাও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই তাদের প্রতিও বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
পশু চিকিৎসকদের মতে, ঘরেই থাক বা বাইরে, ঠাণ্ডা অনুযায়ী পোষ্যকেও শীতের উপযোগী বিছানা, কম্বল, পোশাক পরাতে হবে।
দেশে এখন হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা পড়ছে। অনেক জেলাতেই তাপমাত্রার পারদ ক্রমে কমছে। ঠাণ্ডায় পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে বের হলে তাকেও পরাতে হবে শীতের পোশাক।
কিন্তু কী পরাবেন তাকে? অনেকেই বাড়িতে থাকা সোয়েটার পোষ্যকে পরান। পায়ে গলিয়ে দেন ঘরের মোজা। পশু চিকিৎসকের মতে, ফ্লিস ও উলের মিশ্রণ রয়েছে এমন কাপড় থার্মাল পোশাক পোষ্যকে পরানো যায়। তা ছাড়া তাদের জন্য বিশেষ শীতপোশাকও পাওয়া যায়।
পোষ্যকে হাঁটানোর জন্যও বাইরে বের করতে হয়। শীতের দিনে তাদের পায়েও ঠাণ্ডা লাগা স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে তাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি জুতো পরানো যেতে পারে।
আর যে বিষয়ে নজর দিতে হবে
ঠাণ্ডা জাঁকিয়ে পড়লে পোষ্যের শোয়ার জায়গাটি নিয়ে ভাবার পাশাপাশি কম্বলও জরুরি। মেঝেতে শোয়ার ব্যবস্থা থাকলে পোষ্যের বিছানা হতে হবে বেশ পুরু ও আরামদায়ক।
মেঝে থেকে যাতে ঠাণ্ডা না ওঠে, সে জন্য বিছানার নিচে মোটা প্লাস্টিক বিছিয়ে দিতে পারেন। জানালার ধারে শোয়ার জায়গা হলে মোটা পর্দা দিয়ে জানালা ঢেকে দেওয়া প্রয়োজন। তার সঙ্গে পোষ্যের বিছানায় রাখা দরকার হালকা কম্বলও। সে যদি সোফায় বসে, সেখানেও কম্বল পেতে রাখতে পারেন। পোষ্যদের জন্য বিশেষ ধরনের কম্বল পাওয়া যায়। তবে ভারী কম্বল ঢেকেঢুকে দিলে পোষ্যের কষ্ট হতে পারে। সে দিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
পানি
পানি কম খেলে পোষ্যের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। শীতের দিনে পানি খুব ঠাণ্ডা হলে পোষ্য স্বাভাবিকভাবেই তা খেতে চাইবে না। সে কারণে হালকা গরম পানি তাকে খাওয়ানো যেতে পারে। এ ছাড়া তরল খাবারও তাকে দিতে হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার