ক্যারিয়ার গড়ুন নার্সিংয়ে
দেশে-বিদেশে যে খাতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বেশি, সেগুলোর মধ্যে নার্সিং একটি। নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা বা বিএসসি করলে সহজেই মিলবে চাকরি। এইচএসসি পাস হলেই ভর্তি হওয়া যায় ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে। ডিপ্লোমা শেষ করে বিএসসি করলে দুই বছরের কোর্স।
কোর্সের শেষ ছয় মাস ইন্টার্নশিপ। বেশির ভাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নিজেদের নার্সিং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ হাসপাতালে ইন্টার্ন ও চাকরির সুযোগ করে দেয়। প্রতিষ্ঠান, চাকরির স্তর ও অভিজ্ঞতাভেদে নার্সদের প্রারম্ভিক অবস্থায় বেতন হতে পারে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া দক্ষ নার্সরা সরকারি-বেসরকারি চাকরি সুবিধার পাশাপাশি বিদেশে এমএসসি, এমটিএইচ বা পিএইচডি করতে পারবেন।
ভর্তি পরীক্ষার নম্বর
ভর্তি পরীক্ষা হয় এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরে, সময় এক ঘণ্টা। পাস নম্বর ৪০। ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি : বাংলা ২০, ইংরেজি ২০, গণিত ১০, সাধারণ বিজ্ঞান ২৫ এবং সাধারণ জ্ঞান ২৫ নম্বর। বিএসসি ইন নার্সিং : বাংলা ২০, ইংরেজি ২০, গণিত ১০, বিজ্ঞান ৩০ (জীববিজ্ঞান, পদার্থ ও রসায়ন) এবং সাধারণ জ্ঞান ২০ নম্বর।
নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০।
যেভাবে চাকরি
সরকারিভাবে নার্স নিয়োগ হয় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র স্টাফ নার্স মারজানা মুসতাঈন জানান, সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ের ভালো নার্সিং কলেজ বা ইনস্টিটিউট থেকে পাস করলে কোথাও না কোথাও চাকরি মিলে যায়। ২০১৬ সাল থেকে সরকারি নার্স নিয়োগ হচ্ছে পিএসসির মাধ্যমে। বর্তমানে সরকারি পর্যায়ের সিনিয়র স্টাফ নার্সরা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা।
অভিজ্ঞ ও বিএসসি করা নার্সরা সহজেই পদোন্নতি পান। একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স পরবর্তী সময়ে নার্সিং সুপারভাইজার, নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট, মেট্রন নার্স/নার্স ম্যানেজার পর্যন্ত হতে পারেন। এ ছাড়া বেসরকারি মেডিক্যাল, হাসপাতাল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মেডিক্যাল বিভাগ বা ইউনিটেও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিবছর মধ্যপ্রাচ্য ও উন্নত দেশগুলোতে সরকারিভাবে উচ্চ বেতনে নার্স নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
প্রস্তুতি
নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। প্রচলিত কোচিং সেন্টারগুলোর পাশাপাশি বর্তমানে অনলাইন বা ই-লার্নিং পদ্ধতির প্ল্যাটফরমও চালু হয়েছে। এমন একটি প্ল্যাটফরম ‘আমার স্কুল’। এর মাধ্যমে অনলাইনে (amarschool.com.bd) বা অ্যাপে রেকর্ডেড এবং সরাসরি লাইভ ক্লাসে অংশ নেওয়া যাবে। এখানে ডিপ্লোমা নার্সিং, বিএসসি নার্সিং এবং মিডওয়াইফারির জন্য আলাদাভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি নেওয়া যাবে। আমার স্কুলের সিইও আব্দুল্লাহ বিন আলমগীর বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি তালিকাভুক্ত নার্সের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। জনসংখ্যার অনুপাতে আমাদের প্রয়োজন প্রায় আড়াই লাখ দক্ষ নার্স।’