সাবেক ডিবিপ্রধান এখন যুক্তরাস্ট্রে!
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের প্রায় দুই মাস পার হল। কিন্তু এখনো গ্রেপ্তার হয়নি, গুলি ছুরতে নির্দেশ দেওয়া ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার।
তারা হলেন এস বি সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিবির সাবেক প্রধানহারুন অর রশিদ, ও ডিএমপির সাবেক যুগ্ন কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় ছিলেন ঢাকা মহানগরের ডিবির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন আর রশিদ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টেটের লং আইল্যান্ড তিনি পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে, ৮ ই অক্টোবর একটি সূত্রের বরাদ্দে এমন তথ্য জানায় দ্য বিজনেস স্টান্ডার। তিনি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পুলিশ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।
২০০৬ সালের ডিবি লটারি পেয়ে তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান। সে সূত্রে তারা নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত করতেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা থাকায় গণঅভ্যুত্থানের পর হারুন আর রশিদ নিউইয়র্কে লং আইল্যান্ডের পালিয়ে গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। দ্য বিজনেস স্টান্ডার এর সূত্রে ।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটি কয়েকজনের সহায়তায় তিনি সেখানে গোপনে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।সেখানকার একটি ভবনের সম্মেলন কক্ষে হারুন অর রশিদ বসে আছেন এমন একটি ছবি দ্য বিজনেস স্টান্ডার এর হাতে এসেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী সরকার পতনের পর ১৮৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিখোঁজ রয়েছে। তাদের অনুপস্থিতির কারণে বরখাস্ত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের আইজিপি মাইনুল ইসলাম।পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরং সাংবাদিকদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান চান।
২০১১ সালে জাতীয় সংসদের সামনে এক মিছিলে তৎকালীন বিরোধীদলের চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুককে মারধরের ঘটনায় প্রথম আলোচনায় আসেন হারুন অর রশিদ। এরপর থেকে বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে তার নাম আসতে থাকে।ডিবিতে মানুষকে তুলে নেওয়া, বিরোধীদলের আন্দোলনে বোমা উদ্ধারের প্রমোশন, হেফাজতের নির্যাতন, ইত্যাদি অভিযোগে তিনি সবার কাছে সমালোচিত হন।
গণঅভ্যুত্থানের পর একটা মহল দাবী করেছিল তিনি গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হারুনা রশিদকে নিয়ে তারপরেই জনমহলে অনেক কৌতুয়াল সৃষ্টি হয়। কিন্তু ওই তারিখের পর থেকে তার অবস্থানের আর কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় নায়। অপর একটি সূত্র অবশ্যই নিশ্চিত করেছে ৬ ই আগস্ট হারুন- রশিদ গণপিটানির শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
তার এক আত্মীয় বলেন হারুন এতটাই জনপ্রিয়ত হয়ে গেছেন যে প্রকাশ্যে আসতে ভয় করেন।