ঊর্মির ভারতে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে যা বললেন তার মা
ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের বিতর্কিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি গা ঢাকা দিয়েছেন।
এমনকি পরিবারও কোথাও তার অবস্থান, সে সম্পর্কে জানে না। এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছেন তিনি। তবে বিভিন্ন মিডিয়ায় এমন খবর প্রকাশ হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ঊর্মির মা নাসরিন জাহান।
তিনি বলেন, ঊর্মি ভারত পালিয়ে গেছে? সরকারের এত বড় বড় গোয়েন্দারা থাকতে আপনি আমাকে কেন জিজ্ঞেস করেন এ কথা।
বুধবার যুগান্তরের সঙ্গে ফোনালাপে এসব কথা বলেন মুক্তাগাছার হাজী কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজে গণিত বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক।
ঊর্মির ভারতে যাওয়া নিয়ে তার বরাতে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বিস্ময় প্রকাশ করে নাসরিন জাহান বলেন, ‘তার মা বলছে সে নাই? হ্যাঁ, আমি বলছি। সংবাদে যা বলে তা-ই সত্য? সংবাদে তো অনেক কথাই বলে। আমাদের দেশের রাজনীতি যেমন সংবাদমাধ্যমও তেমন। আসলে সাংবাদিকরা এখন সুযোগ পাইছে। যা পাইলো তা প্রকাশ করল। প্রতি প্রতি মুহুর্তে সংবাদ দিচ্ছে। আমি এসব দেখে আশ্চর্য হচ্ছি। আমি আমার দেশকে ভালোবাসলাম, অথচ আমার দেশের মানুষগুলো এত নোংরা। ’
ঊর্মি অবস্থান নিয়ে কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি বলেও দাবি করেন তিনি।
তার মেয়ের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নাসরিন জাহান বলেন, আমার জানামতে নাই। তারা বের করুক, তদন্ত করুক।
ঊর্মির বিয়ে সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার জীবনে একটি দূর্ঘটনা ঘটেছিল। এসব বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাইনা।
ঊর্মির মা নাসরিন জাহান বর্তমানে মুক্তাগাছার হাজী কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে কাশর জেল রোড এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করেন।
ঊর্মি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার নসিবপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তিনি মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। ঊর্মি শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে আলোচনায় এসেছেন। তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে। শুধু তাই নয়, এ ইস্যুটি টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসাবে বদলির পর সাময়িক বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।