বন্যা-পরবর্তী ফান্ড গঠন করতে কনসার্ট
কিছুদিন আগে দেশের বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছিল। বন্যায় আটকে ছিল প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। বন্যার পানি কমে গেলেও সংকট কাটেনি। তাই বন্যা-পরবর্তী সংকটকাল মোকাবেলা করতে অর্থের প্রয়োজন।
এ কারণে তহবিল গঠনে ‘গাই বাংলার গান’ শিরোনামের কনসার্টের আয়োজন করেছে বাংলার গান পরিষদ ও স্টুডিও সুরুং সাংস্কৃতিক সংগঠন।
আগামী শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবর মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্ট। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে আয়োজকরা।
তারা বলছে, বাংলার সংস্কৃতি ও বাংলার ঐতিহ্যকে রক্ষা এবং বন্যা-পরবর্তী সংকট মোকাবেলায় তহবিল সংগ্রহ করতে এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
পাশাপাশি সাংস্কৃতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সমাজের বৈষম্য দূরীকরণের পথে এগিয়ে যাওয়া।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পুনর্বাসনে এবং বন্যা-পরবর্তী রোগব্যাধির চিকিৎসায় অবদান রাখতেই এই আয়োজন। জানা যায়, গত মে মাস থেকে চলতি আগস্ট পর্যন্ত চার মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১ কোটি ৮৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আয়োজকরা মনে করেন, জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বলেছে, এবারের বন্যায় ২০ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকির মধ্যে আছে।
আর এ বছর এখন পর্যন্ত সব দুর্যোগ মিলিয়ে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৫০ লাখ। একজন সচেতন বাংলাদেশের নাগরিক ও শিল্পী হিসেবে আমাদের মনে হয়েছে বন্যা-পরবর্তী সংকট মোকাবেলা ও বন্যার্তদের পুনর্বাসন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এই ত্রাণ তহবিল গঠনের অন্যতম আয়োজক ও কণ্ঠশিল্পী বাসু দেব বলেন, অনুষ্ঠান থেকে সংগৃহীত সব তহবিল বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য প্রদান করা হবে।
এই অনুষ্ঠানে পারফরম করবে দেশের জনপ্রিয় কিছু ব্যান্ড দল। জলের গান, সর্বনাম, দ্যুলোক, সমঞ্চ গান ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পিন্টু ঘোষ, বাউল শফি মণ্ডল ও আরিফ বাউলসহ আরো অনেকে।
আয়োজকরা বলছেন, টিকিট ভেন্যুতেই পাওয়া যাবে। গেট ওপেন করা হবে দুপুর ১টায়। শুভেচ্ছা মূল্য হিসেবে মাত্র ৫০ টাকা। এর বাইরে বন্যার্দের জন্য চাইলে যে কেউ সাধ্যমতো কন্ট্রিবিউট করতে পারেন। যা বন্যার্তদের পুনর্বাসনে ব্যয় করা হবে।