img

দূতাবাস এবং ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ মনিটরিং করছেন : ম্যাথিউ মিলার

আবারও ধারাবাহিকভাবে জাতীসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উস্থাপিত হচ্ছে। বিশেষ করে চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশি সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবান দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। জানাচ্ছেন তাদের মতামত।

এদিকে বুধবার স্থানীয় সময় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভের বিষয়ে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির বুধবার করা প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

মুশফিক তার কাছে জানতে চান- বাংলাদেশে ছাত্রবিক্ষোভের ওপর দমনপীড়ন চলছে। শাসক গোষ্ঠী এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬ জনকে হত্যা করেছে। বিশেষ করে শাসক দলের ছাত্র বিষয়ক সংগঠন ছাত্রলীগ ছাত্রদের বিরুদ্ধে, বিশেষত নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা দেখিয়েছে। তারা গত ১৫ বছর ধরে বার বার এটা করে যাচ্ছে। আপনারা কি ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন (টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন) হিসেবে বিবেচনা করবেন?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, সুনির্দিষ্ট করে এটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাইছি না। কিন্তু আমি এটা বলবো যে, ঢাকায় শুরু হওয়া ছাত্রদের প্রতিবাদ বিক্ষোভে সহিংসতার বিষয় আমরা অব্যাহতভাবে মনিটরিং করছি।


একই সঙ্গে আহ্বান জানাচ্ছি যে, প্রতিবাদ হতে হবে শান্তিপূর্ণ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে যেকোন রকম সহিংসতার অব্যাহতভাবে নিন্দা জানাই আমরা।

মুশফিক আরও জানতে চান- পুলিশের সামনে অনুসারী ছাত্রদের উদ্ধার করতে, রক্ষা করতে বুক পেতে দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের যুবক ছাত্র আবু সাঈদ। কিন্তু তাকে গুলি করতে দ্বিধা করেনি শাসকগোষ্ঠীর বাহিনী। এমনকি তার বন্ধুদের উদ্ধারের চেষ্টা যখন করছিলেন তিনি তখন সাঈদ বুঝতেও পারেননি তাকে গুলি করা হয়েছে। লজ্জজনক নির্বাচনের আগে যেমনটা করেছেন ঠিক সেইভাবে, এইভাবে ক্ষমতা রক্ষা করছেন (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা।

তখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন) বলেছিলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে সারাবিশ্ব। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ নেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যখন জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়া হলো, তখন আকস্মিকভাবে আপনারা নীরব হয়ে গেলেন। এটা কেন?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, সবার আগে আমি বলবো এ অভিযোগ সঠিক নয়। এ সপ্তাহে আমাকে অনেকবার আপনি বলতে শুনেছেন, সোমবারও বলেছি, আমার মনে হয় মঙ্গলবারও বলেছি, আজ (বুধবারও) বলছি- শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার নিন্দা জানাই আমরা। আমাদের দূতাবাস এবং ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ মনিটরিং করছেন। তাদের মাধ্যমে আমরা খুব নিবিড়ভাবে এই বিষয় পর্যবেক্ষণ করছি।

মানুষ মারা যাওয়ার রিপোর্ট দেখেছি। বিক্ষোভে মানুষ মারা হয়েছে। আমরা আরও একবার সরকারকে আহ্বান জানাবো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভে মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখতে।

এই বিভাগের আরও খবর