এবারের বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচ জিতেও ফাইনালে এসে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেছে ভারত। তীরে এসে তরি ডোবায় এই হতাশা মেনে নিতে পারছিলেন না ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভক্ত-সমর্থকরা। তবে ভারতের এই হারে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের একটা অংশ ‘উল্লাস’ করেছে। যা স্বভাবতই সমর্থন করেননি ভারতবাসীরা।
আর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে চলেছে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ। সে সময় ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যার মন্তব্য ঘিরেও হয়েছে বিতর্ক।
এবার একই বিষয় নিয়ে কথা বললেন অভিনেতা মোশাররফ করিম।
যা গতকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভারতের সাংবাদিকরা মোশারফ করিমের কাছে অস্ট্রোলিয়া- ভারতের হার নিয়ে বাংলাদেশিদের উল্লাস বিষয়ে প্রশ্ন করেন। এর উত্তরে মোশাররফ করিম বলেন, আমি জানতাম এই প্রশ্নটা আমার কাছে আসবে। কিন্তু আমার মনে হয়, খেলা মাঠের মধ্যে থাকাই ভালো।
খেলা খেলাই। এই খেলার বিষয়কে বিভিন্নভাবে ঘুরিয়ে পেচিয়ে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়, সেটা আসলে সুখকর মনে হয় না।
গেল রোরবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগর নাট্য উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোশাররফ করিম। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নানান প্রশ্নের উত্তর দেন এই অভিনেতা। সেখানে তার সফর নিয়ে তিনি বলেন, আমি এখানে বারে বারে আসতে চাই।
আমার প্রিয় জায়গাগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। নাট্যোৎসবকে কেন্দ্র করে এত মানুষের সমাগম এটা খুবই ভালো দিক। আমি চাই আরও বেশি করে মানুষ নাটকের প্রতি উৎসাহিত হন।
বাংলাদেশের নাটক এতো জনপ্রিয়, পশ্চিমবঙ্গের নাটক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নে মোশাররফ করিম বলেন, এটা নিয়ে তো আমি ঠিক বলতে পারবো না, তবে আর্ট এর ক্ষেত্রে কখনোই বলা যায় না, কোনো উপায়ে কোনোটা করা উচিত। আমার কাছে মনে হয়, থিয়েটারের সাথে মন যুক্ত করাই আসল উপায়। আমাদের দেশে, আমি সিরিয়াসলি থিয়েটার করি না। ফলে সেই জায়গা থেকে পশ্চিমবঙ্গের থিয়েটার নিয়ে কথা বলায় আমার পক্ষে মুশকিল। তবে আমি থিয়েটারে ব্যাক করতে চাই। আমি সবচেয়ে বেশি মিস করি এই থিয়েটারকে।
এদিকে অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে নিয়েও প্রশ্ন করেন তারা। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি মোশাররফ করিম। তিনি বলেছেন, আমি একটু অন্য ধরনের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমি ততটা অ্যাক্টিভ নই।