img

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পরবর্তী মিশন ফিফা বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব (রাউন্ড ১)। মালদ্বীপের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড এ্যাওয়ে দু’টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ১২ অক্টোবর মালদ্বীপের বিপক্ষে এ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে আজ মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়ছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। ম্যাচ খেলে ১৩ অক্টোবর ঢাকায় ফিরবেন জামাল ভুঁইয়ারা। হোম ম্যাচ আগামী ১৭ অক্টোবর। যে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার বসুন্ধরা কিংস এ্যারেনাতে। অনেক বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে পৌঁছে দেন কোচ ক্যাবরেরা। তাই তার ওপর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আস্থার জায়গাটা আরও পাকাপোক্ত হয়। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচকে সামনে রেখে গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বসুন্ধরা কিংস এ্যারেনায় শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের আবাসিক ক্যাম্প। সোমবার বিকালে কিংস এ্যারেনায় অনুশীলন করেন জামাল ভুঁইয়ারা।

আসন্ন দুই ম্যাচে জয়েই চোখ বাংলাদেশের। দলকে উদ্দীপ্ত করতে এরই মধ্যে আকর্ষণীয় বোনাসের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সাফের সেমিফাইনালে জাতীয় দলের ৩৮ সদস্যের জন্য বোনাস ছিল ৫৮ লাখ টাকা। এবার তার দ্বিগুণ বোনাস দেওয়ার আশ্বাস মিলেছে। এই ম্যাচ দু’টি শুধু বিশ্বকাপের বাছাই নয়। দুই ম্যাচ ঠিকমতো উতরাতে না পারলে এক বছরের জন্য ফিফা-এএফসির ম্যাচ থেকে বঞ্চিত হতে হবে বাংলাদেশকে। জামাল ভুঁইয়ারা তা হতে দিতে চান না।

তাই মালদ্বীপকে হারিয়ে পরের পর্বে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। সেটা আসলে কতটা সম্ভব? পরিসংখ্যান কী বলছে? এর আগে ১৬ বারের দেখায় ৭ বার জিতেছে বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচ ড্র ও ৬ ম্যাচে হেরেছে মালদ্বীপের কাছে। একটা সময় বলে-কয়েই মালদ্বীপকে হারিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল বাংলাদেশের। ১৯৮৪ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে পরপর দুই ম্যাচে ৫-০ গোলের ব্যবধানে মালদ্বীপকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

এরপর ১৯৮৫ সালে একই টুর্নামেন্টে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে মালদ্বীপকে ধরাশায়ী করে লাল-সবুজরা। ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম ড্র করে মালদ্বীপ। যেটি ছিল গোলশূন্য ম্যাচ। ১৯৯৭ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ১-১ গোলের ড্র। ১৯৯৯ সালে সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন গেমে প্রথমবার বাংলাদেশকে হারের (২-১) তিক্ত স্বাদ দেয় মালদ্বীপ। যে মালদ্বীপ একসময় ছিল সহজ প্রতিপক্ষ, তারাই যেন হয়ে উঠতে থাকে অজেয়। ২০০০ সালে গোল্ডেন জুবলি টুর্নামেন্টে ১-১ গোলের ড্র হয়। ২০০৩ সালে সাফে দুই ম্যাচে জিতে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপকে ১-০ গোলে হারায়। তারপর ফাইনাল ম্যাচেও দেখা হয়। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলের ড্র’র পর পেনাল্টি শুটআউটে ৫-৩ গোলের জয়ে সাফের শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। ২০১১ সালে আবারও সাফে দেখা হয় দুই দলের। তবে এবার ৩-১ গোলে জিতে যায় মালদ্বীপ। ২০১৫ সালের সাফেও একই ব্যবধানে তাদের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারায় তারা। ২০২১ সালের সাফে মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোলে হার মানে বাংলাদেশ। তবে একই বছর চার জাতির টুর্নামেন্টে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর পর জয় পায় লাল-সবুজরা। যে দলে ছিলেন বর্তমান অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়াও। মাঝে ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে হারলেও এ বছর সাফে আবারও জয়ে ফিরে বাংলাদেশ। যে জয়টি ছিল সাফে দীর্ঘ ২০ বছর পর। যেখানে ৩-১ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়েছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। জুনের পর মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানেই আবারও সেই মালদ্বীপের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জয়ের আত্মবিশ্বাসটা তাই এই ম্যাচগুলোতে কাজে লাগাতে চায় তারা।

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ