বিলাসী পণ্য বিক্রিতে ধস
মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় আর্থিক সংকটে থাকা সাধারণ মানুষ খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই বিলাসী সামগ্রীর পাশাপাশি যেসব পণ্য ছাড়া স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নির্বাহ করা সম্ভব ওই ধরনের জিনিসপত্র কেনা থেকে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা ক্রমেই জোরালো হওয়ায় অনেকেই দুর্দিনের জন্য যতটুকু সম্ভব সঞ্চয়ের চেষ্টা করছেন।
ফলে সব মিলিয়ে ছোট বড় দোকান, শপিং মল ও বিপণি বিতানে স্বাভাবিক বেচাবিক্রি নেমে তলানিতে এসে ঠেকেছে। দামি পোশাক-পরিচ্ছদ, স্বর্ণালংকার ও প্রসাধনীসহ অন্যান্য বিলাসী পণ্যের বাজারে রীতিমতো ক্রেতার আকাল পড়েছে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সব ধরনের ফলমূল বিক্রিতেও চরম মন্দা দেখা দিয়েছে। কাঁচাবাজারে বেচাকেনার পতনমুখী চিত্রও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এ সংকটে দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল এবং সেলসম্যান, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন দিতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের নাভিশ্বাস উঠছে। বেগতিক পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন। মন্দা বেচা-বিক্রিতে পুঁজিতে টান পড়ায় কেউ কেউ এরই মধ্যে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
বড় ব্যবসায়ীরা কিছুটা সামাল দিতে পারলেও বেগতিক পরিস্থিতিতে ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত পুঁজির একটি বড় অংশ সরিয়ে নিতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। তারা মনে করছেন, বিক্রি অর্ধেকের চেয়ে বেশি কমে যাওয়ার মতো বড় মূলধনের প্রয়োজন নেই। কেননা তাতে লোকসানের পাল্লা ভারী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে যারা ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসার মূলধন বাড়িয়েছেন, তারা গভীর সংকটে পড়েছেন। স্বল্প বেচাবিক্রির লভ্যাংশ থেকে ঋণের সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে তারা চোখে অন্ধকার দেখছেন।
এ অবস্থায় অনেকে কর্মচারী ছাঁটাইসহ নানা কৌশলে খরচ কমিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। এতে দোকান কর্মচারীরা মহাসংকটে পড়েছেন। এরই মধ্যে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। অন্যরাও ছাঁটাই আতঙ্কে রয়েছেন। ঢাকার মৌচাক, ফরচুন শপিং মল, আয়শা শপিং কমপ্লেক্স, শান্তিনগর টুইন টাওয়ার, বেইলি রোড, নিউমার্কেট এলাকার চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, ইসমাইল ম্যানশন, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স এবং বিভিন্ন খাতের দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়াসহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর। অনেক ব্যবসায়ী দোকান ছেড়ে দিচ্ছেন। কেউবা খরচ সামাল দিতে শোরুমের একাংশ অন্যের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। অনেকে মূল পুঁজি ভেঙে দোকানের নিয়মিত খরচ মেটাচ্ছেন। কোনো কোনো মালিক কর্মচারীদের বিদায় করে দিয়ে নিজেই দোকানে বসছেন।
বাজার পর্যবেক্ষকরা জানান, বেচাবিক্রিতে এমনিতেই চরম মন্দাভাব। এর ওপর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে সংঘাত-সহিংসতার আশঙ্কা যেভাবে জোরালো হয়ে উঠছে, তাতে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকবে তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ডলার সংকট সহসা কাটার কোনো সম্ভাবনা না থাকায় আমদানিকৃত পণ্যের বাজার কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা ভেবে এ খাতে ব্যবসায়ীদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ইসমাইল ম্যানশন সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। দৈনিক বিক্রির পরিমাণ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ব্যবসায়িক মন্দায় বেশকিছু দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। আগে কোনো একটি দোকান খালি হওয়ার আগেই নতুন করে ভাড়া নিতে ব্যবসায়ীরা মালিকদের পেছনে ঘুরতেন। এখন ভাড়া কমিয়ে দেওয়ার পরও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, ব্যবসায়ীরা কর্মচারীদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে মালিক সমিতিকে চাপ দিচ্ছেন। এ এলাকার ২৪টি মার্কেটের সবগুলোর একই অবস্থা। ইসলামপুরের পাইকারি মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও ভালো নেই।’
এদিকে ফল ব্যবসায়ীরা জানান, ডলার সংকটের কারণে গত কয়েক মাস ধরে ফল আমদানি ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সম্প্রতি ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও তা বাজার চাহিদার তুলনায় কম। এক বছর আগের তুলনায় এখন ফল আমদানি ৩০ শতাংশের বেশি কমেছে। আবার আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। আবার সব ধরনের জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতিও বাড়তি। তাই খরচে লাগাম টেনেছে সাধারণ মানুষ। এ কারণে বিক্রিও কমে গেছে।
ফল বাজারের আমদানিকারকেরা তাদের ব্যবসাও কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, ডলারের বাড়তি দাম ও আমদানি কমার কারণে বাজারে ফলের দাম ২০ শতাংশের বেশি এজন্য অনেকে মুনাফা কমিয়ে ব্যবসায় টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। আবার অনেক ব্যবসায়ী বড় ক্ষতির শঙ্কায় আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন।
বাজার পর্যবেক্ষকরা জানান, করোনা মহামারির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বাজে প্রভাব বিশ্বজুড়ে পড়েছে। জ্বালানি সংকটের কারণে দেশে দেশে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। এর ওপর দেশে ডলারের ভয়াবহ সংকট ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে সব ধরনের বিলাসপণ্যের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। ফলে চাহিদা মেটাতে আনুষঙ্গিক ব্যয় কমাতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া বেশিরভাগ পরিবারই খুব বেশি কেনাকাটা করছে না। মার্কেটগুলোতে বেশিরভাগ দোকানই থাকছে ক্রেতাশূন্য।
এদিকে মাছ-মুরগি ও গরু-খাসির মাংস বিক্রেতারা জানান, তাদের দৈনন্দিন বেচাকেনা অর্ধেকের বেশি কমেছে। আগে যে দোকানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মাছ-মুরগি বিক্রি হতো সেখানে এখন ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যেসব ক্রেতা আগে একসঙ্গে ১০-১২টি মুরগি কিনতেন তারা এখন দু’টির বেশি মুরগি কিনছেন না। নিম্নবিত্তের ক্রেতারা আগে দেড়-দুই কেজির মুরগি কিনলেও তারা এখন ওই মুরগি দু’জনে ভাগে কিনছেন।
মালিবাগ কাঁচাবাজারের মাছ বিক্রেতা বাদশা মিয়া জানান, ২৫০ থেকে ২৮০ টাকার চাষের রুই ও কাতলা মাছ দিনে ৮০ থেকে একশ’ কেজি বিক্রি হলেও এখন ৫০ কেজি বিক্রি করাই কঠিন। ক্রেতারা অনেকে এক-দেড় কেজির রুই মাছ ভাগে কিনছেন। নিম্নবিত্তরা আড়াইশ’ গ্রাম ছোট মাছ কিনে বাড়ি ফিরছেন। বেচাবিক্রির এ মন্দা দশায় ব্যবসার মূলধন টিকিয়ে রাখা দুষ্কর হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন ওই মাছ বিক্রেতা।
এদিকে প্রসাধনী ব্যবসায়ীরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে সংসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ নিত্য খাদ্যপণ্য ভিন্ন অন্যসব জিনিসপত্র কেনাকাটা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে। পারফিউম ও লিপিস্টিকসহ অন্যান্য মেকআপ সামগ্রির বিক্রি নেই বললেই চলে। আগে চকবাজারে দিনে শতকোটি টাকার কেনাবেচা হতো। এখন তা ৩০-৩৫ শতাংশ কমে ৬৫-৭০ কোটিতে নেমেছে। পাইকাররা যারা বাজারে আসছেন, তারাও পণ্য কেনার পরিমাণ আগের থেকে কমিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, নিত্যপণ্যের কেনাবেচাতেও ভাটার টান ধরেছে। রাজধানীর সবচেয়ে বড় নিত্যপণ্যের বাজার পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার।
মৌলভীবাজার ও বেগমবাজারের কিছু অংশ মিলে বড় বড় ব্যবসাকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। ভোজ্যতেল, আটা, ময়দা, চিনি, ডাল, মসলা, গুঁড়া দুধসহ সব ধরনের পণ্যের কেনাবেচা হয় এখানে। প্রতিদিন এ বাজারে ঠিক কত টাকার কেনাবেচা হয়, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে ব্যবসায়ী নেতাদের ধারণা, আগে এখানে দিনে দেড়-দুইশ’ কোটি টাকার কেনাবেচা হতো, যার এক তৃতীয়াংশের বেশি কমে গেছে।
ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলছেন, দুই কারণে কেনাবেচা কমেছে। এক- দাম দ্রæত ওঠানামা করছে। এ কারণে কেউ বাড়তি দামে পণ্য কিনে লোকসানের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। দ্বিতীয় কারণটি হলো- দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। একই খরচায় আগের থেকে অনেক কম পণ্য কেনা যাচ্ছে। মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মো. বশির উদ্দিনের ধারণা, বাজার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ায় মৌলভীবাজারে নিত্যপণ্যের কেনাবেচা আগের চেয়ে ২৫-৩০ শতাংশ কমে গেছে।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী গোলাম মওলা বলেন, পণ্যের দাম বাড়লে ক্রেতাদের মতো বিক্রেতাদেরও স্বস্তি থাকে না। মানুষ মনে করে বিক্রেতাদের হয়তো লাভ বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে সেটা হয় না। দাম বাড়ার কারণে বিক্রেতাদেরও বিক্রি কমে যায়। তখন পুঁজি বেশি খাটাতে হয়। লোকসানের ঝুঁকিও বাড়ে। বেশকিছু দিন ধরে ব্যবসায়ীরা এমন পরিস্থিতিতে রয়েছেন।
মনিহারি পণ্যের বেচাকেনায় বড় ধরনের ধস নামায় ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। চকবাজারের প্লাস্টিকপণ্য, ইমিটেশনের গহনা, শিশুদের খেলনা, ব্যাগসহ বিভিন্ন মনিহারি পণ্যের বিক্রেতারা জানান, ‘ক্রেতাদের আনাগোনা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে।’
মনিহারি বণিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ নাসের বলেন, ‘মনিহারিপণ্য প্রয়োজনীয় হলেও এটি তো নিত্যপণ্য নয়। এ কারণে দাম বাড়লে চাহিদা কমে যায়। ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি খরচ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। অথচ আমরা দাম সমন্বয় (বাড়ানো) করতে পারছি না। এমনিতেই বেচাকেনা কম, দাম সমন্বয় করলে আরও বিপাকে পড়তে হবে।’
সংকটের ধাক্কায় অনলাইনেও বেচাবিক্রি কমে গেছে। ‘কান্ট্রি গার্ল’ নামে একটি অনলাইন বুটিক রয়েছে শিরিন সুলতানার। তিনি বলেন, ‘অনলাইনে কেনাকাটা কমে যাওয়ার চিত্র বেশকিছু দিন ধরেই টের পাচ্ছি। আমার প্রতিষ্ঠানের বিক্রি প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে।’ আরেক উদ্যোক্তা জানান, তার বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। আবার যেটুকু বিক্রি হয়, তার জন্যও ক্রেতারা নানা ধরনের মূল্যছাড় চান। এমনিতেই বেচাবিক্রি কম। তার মধ্যে সব ধরনের খরচই বেড়েছে। এ অবস্থায় পণ্যের দাম বাড়ালে ক্রেতা আরও কমে যাবে। তাই অনলাইন ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, করোনার প্রকোপ শুরুর পর ডিজিটাল ব্যবসার দ্রæত প্রসার ঘটে। ২০২০ সালের এপ্রিলে ই-কমার্সে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫৪ কোটি টাকা। মে মাসে তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়। এযাবৎকালের মধ্যে ই-কমার্সে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ২০২১ সালের জুনে। ওই মাসে ১ হাজার ২৭৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। তবে ২০২২ সালের দিকে বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বরে ই-কমার্সে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকায়। বর্তমানে এ খাতে লেনদেন আরও ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমেছে।