দেশে চাহিদার চেয়ে ২০ লাখ টন আলু বেশি উৎপাদন হলেও হিমাগার

দেশে চাহিদার চেয়ে ২০ লাখ টন আলু বেশি উৎপাদন হলেও হিমাগার ও মজুতদার সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে সাড়ে ১০ টাকা খরচ করে কৃষক তা সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ১৮ টাকায় বিক্রি করেছে। অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় এ খাদ্য পণ্যটি এখন বাজারে সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সম্প্রতি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। এতে অসাধু ব্যবসায়ীদের সরকারি তদারকি সংস্থা ও পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করা হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- দেশের ৩৬৫টি হিমাগারে এ বছর ২৪ লাখ ৯২ হাজার টন আলু সংরক্ষণ করা হয়। কৃষকের ঘরে থাকা আলু শেষ হওয়ার পর জুন থেকে হিমাগারের আলু বাজারে আসতে থাকে। কিন্তু এ সরবরাহ ঠিকভাবে হচ্ছে না। হিমাগার মালিক ও মজুতদাররা চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত পরিমাণ আলু বাজারে ছেড়ে দাম বাড়িয়েছে।
সরকারি সংস্থা টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) তথ্য অনুযায়ী খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম বছরের ব্যবধানে ৬১.১১ শতাংশ বেড়েছে। অথচ হিমাগারে আলুর দাম বাড়লেও কৃষকের তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না। কারণ, উৎপাদন মৌসুমেই কৃষকেরা সিংহভাগ আলু বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে ‘লাভের গুড়’ শুধু হিমাগার ও মজুতদার সিন্ডিকেটই খাচ্ছে।
গত আগস্ট মাসে মাত্র দুই সপ্তাহে ডিম সিন্ডিকেট ১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত বছর আগস্টেও একইভাবে ডিমের বাজারে কারসাজি করে দাম বাড়ানো হয়। তখন ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর প্রমাণ পায়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। কিন্তু সেই মামলার আর অগ্রগতি হয়নি। ফলে এ বছর আগের চেয়ে দ্বিগুণ উৎসাহে ডিমের দাম বাড়ায় একই সিন্ডিকেট। তবে ডিমের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রতিবেশী দেশ থেকে তা আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর দেশের বাজারে ভেল্কিবাজির মতো এ পণ্যের দরপতন ঘটে।
গত জুনের শেষ সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম কয়েক ধাপ বেড়ে এক হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকে। এ পরিস্থিতিতে ২ জুলাই ভারত থেকে মাত্র ১১ ট্রাক কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। এ মরিচ দেশে ঢোকার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আকাশচুম্বী দরে বিক্রি হওয়া এ পণ্যটির ব্যাপক দরপতন শুরু হয়। রাতারাতি দাম নেমে আসে দেড় থেকে দুইশ’ টাকায়। এর আগে জুনের প্রথম সপ্তাহে শুধু আমদানির খবরেই দেশের মোকাম ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে যায়।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারের এই অস্থিরতা স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে- সিন্ডিকেটে হাতে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, খোদ সরকারও জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারা চাইলেই ভোগ্যপণ্যের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে পারে। দ্রব্যমূল্যের উত্থান-পতনও পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
এ পরিস্থিতিতে সরকারের নীতি-নির্ধারকরা মনে করছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দ্রব্যমূল্যের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে না পারলে তার জন্য বড় ‘রাজনৈতিক মূল্য’ দিতে হতে পারে। তাই তারা ভোটের আগেই মূল্যস্ফীতির পাগল ঘোড়া বাগে আনতে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালানোর তাগিদ দিয়েছেন।
এদিকে মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এটা নিয়ন্ত্রণকে প্রধান দায়িত্ব হিসেবে নিতে সরকারের সব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বাজারে পণ্যের দাম সমন্বয় করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জোরালো নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার পর অর্থনৈতিক নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও মানুষের দৈনন্দিন জীবনে স্বস্তি ফিরে আসেনি। বরং খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। জীবনযাত্রার মান কমিয়ে এনেও মধ্যম আয়ের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। শুধু খাবার কিনতেই নিম্নবিত্ত অনেকের সঞ্চয় ভাঙতে হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকার এখন বাজার সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এ চক্রকে দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে নির্বাচনী ডামাডোলে বাজার সিন্ডিকেট আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। এতে জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা তলানিতে এসে ঠেকবে। ভোটের মাঠে যার বড় প্রভাব পড়বে। এদিকে বাজার সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে মূল্যস্ফীতির রেকর্ড ভাঙার বিষয়টি সরকারের মন্ত্রী-আমলারাও স্বীকার করেছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির তরফ থেকেও বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। আইন করে সিন্ডিকেটে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জানিয়েছে, নিত্যপণ্যের বাজারে এখন শক্তিশালী সিন্ডিকেট সক্রিয়। এ সিন্ডিকেট কখনো চিনি, কখনো তেল, আবার কখনো পেঁয়াজ কিংবা মসলার দাম বাড়ায়। একই ব্যবসায়ী গ্রুপের মাধ্যমে অধিকাংশ নিত্যপণ্য আমদানি হওয়ার সুবাদে বাজার বরাবরই অস্থিতিশীল থাকছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের হাতে ভোক্তা জিম্মি। পণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে এই চক্র খুব শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে ভোক্তাকে নাজেহাল করছে। তারা চিহ্নিত। অনেক সময় সরকারের একাধিক সংস্থা তাদের চিহ্নিত করেছে। সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই সিন্ডিকেট থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। যে কারণে তারা বারবার ভোক্তাকে ঠকাচ্ছে। এ থেকে ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে হলে সরকারের একাধিক সংস্থার থাকা নিজস্ব আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। কারণ, এই সিন্ডিকেট ভাঙার দায়িত্ব যেমন সরকারের, তেমনই ভোক্তাকে সঠিক দামে পণ্য কেনার সুযোগ নিশ্চিত করার দায়িত্বও সরকারের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দীর্ঘ সময় ধরেই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা হচ্ছে। মাঠ প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ নিত্যপণ্য নিয়ে কারা কারসাজি করে, তাদের শনাক্ত করেছে। তাদের একাধিক তালিকা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমও এসব তালিকা প্রকাশ করেছে। তারপরও সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এই সিন্ডিকেটের কারণে চালের ভরা মৌসুমেও দাম বাড়িয়ে ভোক্তার পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নজির রয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিলে বাজারে নতুন চাল আসার পর মে মাসের শুরু থেকেই এর দাম অস্বাভাবিক গতিতে বাড়াতে থাকে। ওই সময়ে চাহিদার চেয়ে চালের মজুত বেশি ছিল ৩০ লাখ টন। এরপরও চালের দাম কেজিতে গড়ে ৫ থেকে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১৩ মে থেকে ৩০ জুন ৪৯ দিনে ভোক্তার পকেট থেকে ১ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল সিন্ডিকেট।
গত বছর কারসাজি করে সয়াবিন তেলের মাত্রাতিরিক্ত দাম বাড়িয়েছে মজুতদাররা। এতে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেড় মাসে ভোক্তার পকেট থেকে বেরিয়ে গেছে গড়ে অতিরিক্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। এই টাকার বড় অংশই গেছে মিলার ও পাইকার সিন্ডিকেটের হাতে। এপ্রিলের শেষ দিকে যখন পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা, তখনও সব স্তরের ব্যবসায়ী নিজেদের মুনাফা ধরে তা বিক্রি করতেন। হঠাৎ মে মাসের শুরুর দিকে এর দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি শুরু হয়। ওই সময়ে চক্রটি কারসাজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। ওই সময়ে চক্রটি ৩০ দিনে ভোক্তার পকেট থেকে অতিরিক্ত ৮১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গত রোজায় শসার কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কোনো কারণ ছাড়াই ঈদের পর তা বেড়ে একলাফে ১২০ টাকা কেজিতে ওঠে। ওই সময়ও চক্রটি ভোক্তার পকেট থেকে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চাল, সবজির দাম বাড়লেও কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের নায্যমূল্য পাচ্ছে না। বরং সিন্ডিকেটের কারসাজি ঠেকাতে সরকার আকাশচুম্বী বৃদ্ধি পাওয়া বিভিন্ন পণ্য আমদানি করায় দেশের কৃষক ও বিভিন্ন উৎপাদকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সংঘবদ্ধ বাজার সিন্ডিকেট ডলারের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে মসলার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছে। অথচ বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ২৯ শতাংশ। কিন্তু মসলার দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৬০০ শতাংশ। এভাবে বিভিন্ন সময়ে একক পণ্য টার্গেট করে বাজার সিন্ডিকেট ভোক্তার পকেট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ডক্টর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার যেভাবে বাড়ছে, এর প্রধান কারণ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এটি না কমাতে পারলে মূল্যস্ফীতি কমবে না। ফলে সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য কমাতে সরকারকে বেশি জোর দিতে হবে। তা না হলে মূল্যস্ফীতির হার কমানো যাবে না। বর্তমানে টাকার প্রবাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমে গিয়ে মানুষের আয় কমে যাবে। এতে আরও বেশি ক্ষতি হবে। ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভোক্তার পকেট কাটার মহোৎসব চালিয়ে যাওয়া দ্রুত বন্ধ করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, আগে শুধু আমদানি পর্যায়ে সিন্ডিকেট হতো। এখন খুচরা ব্যবসায়ীরাও সিন্ডিকেট করছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডক্টর তৌফিক আহমেদ চৌধুরী সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আগে কয়েকজন আমদানিকারক ও বড় ব্যবসায়ীর মধ্যে সিন্ডিকেটের কথা শুনে এসেছি।
কিন্তু এখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। এখন আর সিন্ডিকেট একটি নয়, একাধিক। এখন আমদানিকারক-ব্যবসায়ীর পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতারাও সিন্ডিকেট করছে। যে যেভাবে পারছে মুনাফা করছে। তাদের মধ্যে একটা অলিখিত চুক্তি রয়েছে বলেও মনে হয়। পণ্য সংকট নেই, সরবরাহ স্বাভাবিক, তারপরও দাম বাড়ছে।’
বাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, সরকারের মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। ওই সিন্ডিকেট টিসিবিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখছে। তাদের কারণে টিসিবি কার্যকর হতে পারছে না। এসব কারণে গত রমজানেও টিসিবিকে কার্যকর করার নির্দেশনা কোনো কাজে আসেনি। ক্যাবের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা বলেন, মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাইস কমিশন করা হয়নি। বড় কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুধু দোষারোপ করে সরকার দায়িত্ব শেষ করেছে। এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি বলে মনে করেন তারা।
অর্থনীতিবিদ ডক্টর কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, সিন্ডিকেট দমনের জন্য নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ করতে হবে। টিসিবিকে পুরোপুরি ঢেলে সাজিয়ে এর মাধ্যমে প্রচুর পণ্য আমদানি করতে হবে। ছোট আমদানিকারকদের পণ্য আমদানিতে উৎসাহ ও সহায়তা দিতে হবে, যাতে গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর হাতে আমদানি নিয়ন্ত্রিত না হয়। পাশাপাশি চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বড় বড় সিন্ডিকেটের কারণে সাধারণ মানুষের স্বার্থ নষ্ট হচ্ছে। মুষ্টিমেয় সিন্ডিকেটের কারণে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এসব সিন্ডিকেটকে ধরা দরকার, এসব সিন্ডিকেট ভাঙার দরকার। নিজেদের লাভের জন্য একটি গোষ্ঠী বেআইনিভাবে পণ্য মজুত করে মূল্য বাড়িয়ে দেয়। এদের কঠোর শাস্তির মধ্যে আনা দরকার।