গা ছমছমে পরিবেশ মেঘালয়ের এই জায়গাগুলিতে, শোনা যায় শিরদাঁড়ায় শিহরণ জাগানো গল্প
ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির পছন্দের জায়গা মেঘালয়। সবুজের চাদরে ঢাকা সুন্দর পাহাড়। আয়নার মতো স্বচ্ছ জলরাশি। এমন সুন্দর প্রকৃতির টানেই অনেকে ছুটে যান মেঘ বালিকার দেশে। কিন্তু সুন্দর এই রাজ্যেরই কিছু জায়গায় রয়েছে তেনাদের হাতছানি। গা ছমছমে এমন কিছু গল্প যা শিরদাঁড়ায় শিহরণ জাগাতে পারে।
এক্ষেত্রে প্রথমে বলা যেতে পারে সুইট ফলসের (Sweet Falls) কথা। হ্যাপি ভ্যালি থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জলপ্রপাত। প্রায় ৯৬ মিটার উঁচু। জলের এই ধারা যতটা সুন্দর ততটাই নাকি ভয়ংকর। স্থানীয়রা এই জলপ্রপাতকে ভূতুড়ে মনে করেন। বলা হয়, এই জলপ্রপাত দেখতে যদি কোনও দল বিজোড় সংখ্যায় যায় ফেরার সময় নাকি সেই দলকে জোড় সংখ্যায় ফিরতে হয়। একাধিক আত্মহত্যার ঘটনা এখানে ঘটেছে বলেই শোনা গিয়েছে।
গারো পাহাড়ের দক্ষিণে বাংলাদেশে সীমান্তের খুব কাছেই রয়েছে বলপাকরাম জাতীয় উদ্যান (Balpakram National Park)। এই জায়গাকে আত্মার দেশও বলা হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই জায়গায় প্রেতাত্মাদের বাস রয়েছে। তাই সূর্যাস্তের পর এই উদ্যানে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা। কোনও প্রয়োজনে উদ্যানের আশেপাশ দিয়ে যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নাকি হাসি-কান্নার শব্দ শুনতে পেয়েছেন। এলাকার লোকগানেও নাকি বলপাকরাম জাতীয় উদ্যানে অশরীরীদের বাসের কথা বলা হয়েছে।
মেঘালয়ের শিলংয়ে রয়েছে লাইতুমখরাহ ক্যাথলিক সমাধিক্ষেত্র (Laitumkhrah Catholic Cemetery)। এমনিতেই অন্ধকারে এই স্থানে যাওয়ার সাহস খুব বেশি মানুষ দেখান না। মনে করা হয়, এখানে অশরীরীদের বাস রয়েছে। শোনা যায়, গোরস্থানে আচমকাই আলো জ্বলতে দেখা যায়। আবার নানা অদ্ভূত আওয়াজও শোনা যায়। এই কারণেই সূর্য ডুবে গেলে ক্যাথলিক সমাধিক্ষেত্রের আশেপাশের রাস্তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা।