img

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনীতি করার পরিবেশ নেই, এ দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল এবং সংবিধানের মধ্যে যেসব বিধান রয়েছে সেগুলো মেনেই রাজনীতি করে।  পার্লামেন্টে যাওয়ার জন্য নির্বাচন করে।  

মির্জা ফখরুল আজ শুক্রবার দুপুরে (১২টায়)  তার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়ির বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সহ-সভাপতি আল মামুন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপির অন্যান্য নেতা উপস্থিত ছিলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের যে প্রধান সহযোগী দল জাতীয় পার্টির প্রধানও বলেছেন বাংলাদেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত হয়েছে, বাংলাদেশ একনায়কতান্ত্রিক দেশ, যেখানে গণতন্ত্র নেই। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বিএনপি দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের সমস্যা সমাধানে আন্দোলন করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে।  

বিএনপি ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছে। কিন্তু সমাবেশে আসার পথে বিএনপির কর্মীদের আক্রমণ, বাধা দেয়া, গাড়ি ভাঙচুর ও  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতিপূর্বে এই আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে চারজন কর্মী নিহত হয়েছেন এমন অভিযোগ এনে  মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরাই গোলোযোগ সৃষ্টি করে বিএনপির কর্মীদের নামে অসংখ্য মামলা দিয়েছে, যার পরিমাণ নতুন করে প্রায় ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। তার পরও বিএনপি গণতান্ত্রিকভাবেই জনগণের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে কোনো বাধাই মানা হবে না, যা চট্টগ্রামের সমাবেশ ও জেলা পর্যায়ের সমাবেশের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়ে গেছে।  

তিনি বলেন, আগামীকাল ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশ রয়েছে।   কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেদের আসল চেহারা উন্মোচন করে সেখানে উল্টো সমাবেশ ডেকেছে, যে সমাবেশের কোনো কারণই ছিল না।   এর অর্থ হলো, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে যাচ্ছে, যেখানে রাষ্ট্রের সহযোগিতা নিয়ে রাষ্ট্রকেও তারা সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সেই প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েই বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের যে আশা, স্বপ্ন ও দেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে এবং এবার কোনো বাধাই বিএনপিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। 

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে হলে সে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না এবং সেই নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না। তত্ত্বাবধায়ক ও নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর