img

মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও গত সপ্তাহে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা 'তথ্যের ওপর ভিত্তি করে' করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছে দেশটি। এ ছাড়া ওয়াশিংটনের অনুরোধে সিদ্ধান্তটি এক মাস পেছালে তা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও দাবি করেছে দেশটি। 

আজ বৃহস্পতিবার সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।খবর রয়টার্সের। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওপেক প্লাসের নেওয়া সিদ্ধান্তটি ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছিল। যার উদ্দেশ ছিল সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষা এবং বাজারের অস্থিরতা রোধ করা। 

তেল-উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্লাস গত সপ্তাহে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সপ্তাহের শুরুতে সতর্ক করেছিলেন যে সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য পরিণতি ভোগ করতে হবে। 

বিবৃতিতে থেকে জানা গেছে, ৫ অক্টোবর ওপেক প্লাসের বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। তখন তারা এক মাস দেরিতে এ সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেছিল। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্ত এক মাস বিলম্বিত করলে নেতিবাচক অর্থনৈতিক পরিণতি হবে। সব ধরণের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ এমনটাই ইঙ্গিত দেয়। সৌদি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ক্রমাগত পরামর্শের মাধ্যমে ব্যাপারটি স্পষ্ট করেছে। '

এদিকে উপসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতা পরিষদ জিসিসি সৌদি আরবের মন্তব্যের সমর্থনে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বাজারকে অস্থিরতা থেকে রক্ষা করার জন্য সৌদির প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে। 

সূত্র : রয়টার্স

এই বিভাগের আরও খবর