img

২০০৩ সালে বগুড়ায় ইউপি নির্বাচনের পর বিজয়ী চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজনের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার মামলায় ১১জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রত্যেক আসামীর ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে প্রত্যেকর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক হাবিবা মন্ডল সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রশিদুল ইসলাম ওরফে রশিদ মৃধা, একই ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামের বিপ্লব মিয়া, রাসেল, জুয়েল প্রামানিক, দক্ষিণভাগ গ্রামের সবুজ আকন্দ ও উজ্জল আকন্দ, একই গ্রামের আব্দুল মান্নান, পিলু খন্দকার, মোখলেছার রহমান মুকুল, আব্দুল হামিদ খোকা আকন্দ এবং জাহেদুর রহমান। ১১ আসামীর মধ্যে বিপ্লব, রাসেল ও জুয়েল প্রামানিক পলাতক রয়েছেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে শেখেরকোলা ইউপি নির্বাচনে বিএনপি নেতা রশিদ মৃধা হরিণ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়ে মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্ন এলাকায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বের হন তিনি। সন্ধ্যার দিকে দক্ষিণভাগ গ্রামে পৌঁছালে মামলার বাদি মাহমুদুর রহমানের ভাই শাজাহান আলী ও ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানকে রাস্তায় পেয়ে তাকে ভোট না করায় গালাগাল শুরু করেন রশিদ মৃধা। তারা এর প্রতিবাদ করলে রশিদ চেয়ারম্যান ও অন্য আসামীরা তাদের ওপরে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাদের উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৩ ফেব্রুয়ারি শাজাহান মারা যান। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসিমুল করিম হলি জানান, মামলায় ওই ১১ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। ১১ আসামীর মধ্যে ৮জন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রায়ে পলাতক ৩ আসামীর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর