জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরের শেষে বা ২৪ সালের শুরুতেই
আগামী বছরের শেষ প্রান্তিকে বা ২৪ সালের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ শনিবার (৮ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
লিখিত বক্তব্যে সিইসি বলেন, প্রথমেই আমি আমার নিজ এবং সহকর্মী মাননীয় নির্বাচন কমিশনারদের পক্ষ থেকে উপস্থিত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের আন্তরিক স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সম্মানিত সিনিয়র সচিব এবং বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত অতিরিক্ত মহা-পরিদর্শকও উপস্থিত আছেন।আপনাদেরকেও আন্তরিক স্বাগত ও শুভেচ্ছা। আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমেই আপনারা আজকের সভার উদ্দেশ্য অবহিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সংবিধান ও বিভিন্ন আইন অনুযায়ী নির্বাচন বছর ধরেই একটি চলমান প্রক্রিয়া। সামেদ নির্বাচন পাঁচ বছর অন্তর অন্তর হয়ে থাকলেও স্থানীয় সরকার বিষয়ক বিভিন্ন নির্বাচন বছর ধরেই, কোনো না কোনো কারণে, চলমান থাকে। যেমন আগামী ১৭ তারিখে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জাতীয় সংসদের দুটো উপ-নির্বাচন রয়েছে। আগামী বছরের শেষ প্রান্তিকে বা ২০২৪ সালের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন।
সাবেক এ আইন সচিব বলেন, আপনারা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপাররা রাষ্ট্রের মূল প্রশাসনিক ইউনিট, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা। পদাধিকারবলে আপনারা জনগণের নিকট সান্নিধ্যে থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ও স্থানীয় সরকার গঠনের গুরুত্ব আপনারা নিশ্চয়ই অনুধাবন করে থাকেন। আজকের সভার উদ্দেশ্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সকল নির্বাচন বিষয়ে আপনাদের এবং কমিশনের সমন্বিত দায়িত্ব, ভূমিকা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করা। আশা করি কার্যকর আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে আজকের সভা সফল ও ফলপ্রসূ হবে।
সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংস্থাটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।