img

আগামী জানুয়ারির মধ্যে পঞ্চগড়ের আউলিয়ার ঘাটে সেতুর নির্মাণ কাজের শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।  বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নৌকাডুবিতে নিহত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক ও শুকনো খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই আশ্বাস দেন।  

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আউলিয়ার ঘাটে সেতু নির্মাণের বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে। এটি এখন ডিজাইন প্রক্রিয়ায় মধ্যে আছে।ডিজাইন শেষ হলে টেন্ডার হবে। আর ডিসেম্বর বা জানুয়ারির শুরুতেই বাস্তবভিত্তিক কাজ শুরু হবে। ’

বিএনপিকে রাজনীতি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যখন দেশের করোনা মহামারী, যখন ইউক্রেন রাশিদা যুদ্ধ, পুরো বিশ্বব্যাপী যখন সংকট সেই সময়ে আমরা বিরোধী দলকে দেখেছি সরকারের পাশে না দাঁড়িয়ে, মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে, শুধু সমালোচনা করেছে। এটি একটি দায়িত্বশীল বিরোধী দলের কাজ নয়। আজকে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ততটুকু পারেন তাদের পাশে দাঁড়ান। এটিই হলো সত্যিকারের রাজনীতি। এটাই হলো মানবতা। এটাই হলো সত্যিকারের দেশপ্রেম। ’

kalerkantho

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘মহালয়া উপলক্ষে নদীর ঘাটে ভিড় ছিলো অস্বাভাবিক। নারী ও শিশুরা ছিলো বেশি। নদীর পানিও বেড়ে গিয়েছিল। মানুষকে সতর্ক করার জন্য সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ঈদের রেলে যাত্রীদের ভিড়ের মতো অবস্থা হয়েছিল সেদিন। অনেক সময় প্রশাসন পুলিশ চাইলেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। মানুষ ভুলে যায় সময়ের চেয়ে জীবনের দাম অনেক বেশি। ’

এ সময় তিনি প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা, চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ শুকনো খাবার তুলে দেন। রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে নিহত প্রতি পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। 

অন্যদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হক, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল আলীম মাহমুদ, জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা আউলিয়ার ঘাটের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

রবিবারের নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো তিনজন। তাদের খোঁজে করতোয়া নদীতে পঞ্চম দিনের মতো উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। নিহতদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন, নারী ৩১ জন ও শিশু ২১ জন।  

এই বিভাগের আরও খবর