img

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জন্মেছিলেন বলেই বাঙালি জাতির মুক্তির শৃঙ্খল উজ্জীবিত হয়েছে এবং প্রায় দেড় দশকে বাংলাদেশ প্রগতি ও উন্নতির ধারায় পদে-পদে এগিয়ে গৌরবের ইতিহাস রচনা করেছে। 

আজ বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। 

স্বাধীন বাংলাদেশে ’৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 

নানক বলেন, শেখ হাসিনা জন্মেছিলেন বলেই বাঙালি আঁধারে বোধের দ্বিপশিখাকে জাজ্বল্যমান প্রদীপ রূপে লালন করার সাহস পায়।যাকে মোট ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করে আজ হন্তারক গোষ্ঠী বিশ্রামের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু নির্ভিক শেখ হাসিনা উন্নয়নের সোপান বেয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের স্বপ্নের সিঁড়ির দিকে দুর্দন্ড-প্রতাপে ধাবিত হয়। 

তিনি বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা, দেশের মানুষের জ্বালা গ্লানিকে সময়ের তাড়নায় এক চিলতে হাসিতে রূপান্তর করার প্রত্যয় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন সকল অশনি শক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। স্বৈরাচারী সরকার, সন্ত্রাসের ভয়াল করালগ্রাস, অগণতান্ত্রিক সামরিক পেটোয়া বাহিনী, দুষ্টের দৌরাত্ম্য সব কিছুকে যিনি আলিঙ্গণ করেছিলেন পিতা মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের নেপথ্যের দিগ্বিজয়ী জয়ী সারস হয়ে। 

জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রীয় মৌলনীতিকে বাস্তবায়ন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সাধন, জঙ্গিবাদ উৎখাতে অকুতোভয় দুঃসাহসী অভিযাত্রিক হিসেবে যিনি নিজের জাত চিনিয়ে বিশ্বব্যাপী নন্দিত হয়েছেন অপরাজেয় লৌহ মানবী হিসেবে, তিনিই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ’

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘সেই পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামাত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা যায়, কিন্তু প্রতিরোধ করা যায় না। ’

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলরা লাশের রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু বাংলার মাটিতে আর হত্যাযজ্ঞ চলতে দেওয়া হবে না। ষড়যন্ত্র হলে জনগণকে সাথে নিয়ে সেই খুনিদের রুখে দেওয়া হবে। 

সংগঠনের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের মধ্যে ক্রীড়া উপকরণ বিতরণ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর