img

টি-টোয়েন্টির এই যুগে জাতীয় দল বনাম ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের দ্বন্দ্ব ক্রমে বেড়েই চলছে। বিশ্বের বহু ক্রিকেটাররাই জাতীয় দলের চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগকে প্রাধান্য দেন। এর প্রধান উদ্দেশ্যই মোটা অংকের অর্থ উপার্জন। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও এর বাইরে নন।দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক সিরিজ ফেলে তিনি গেছেন সিপিএলে খেলতে। 

মজার ব্যাপার হলো, যার জায়গায় সাকিব আল হাসান গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সে যোগ দিয়েছেন, সেই প্রোটিয়া বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার জাতীয় দলের ডাকেই এই লিগ মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছেন (সূত্রঃ ক্রিকইনফো)।  এদিকে আজ বৃহস্পতিবার আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। আগামী ২৫ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর স্বাগতিকদের বিপক্ষে সেখানে অনুশীলনের পাশাপাশি দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। অথচ, এই সফরে নেই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান!

সিপিএলে সাকিবের শুরু হয়েছে 'গোল্ডেন ডাক' মেরে। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।   আর এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ দুর্বলতম দল। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেই জোড়াতালি দিয়েই যাচ্ছে বিশ্বকাপ খেলতে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে যোগ দেওয়ার আগে আরব আমিরাতে অনুশীলন ক্যাম্প এবং দুটি ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। অথচ, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিয়মিত অধিনায়ককে পাচ্ছে না জাতীয় দল! 

অবশ্য পাল্টা যুক্তিও আছে। সাকিব সিপিএল টি-টোয়েন্টি লিগে গিয়ে খেলার মাঝেই থাকবেন। তার অনুশীলন সেখানেই হয়ে যাবে। তাছাড়া সাকিবের অনুপস্থিতিতে আবারও নিজের নেতৃত্বগুণ প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছেন নুরুল হাসান সোহান। তবু এই সময়ে সাকিবের দলের সঙ্গে থাকা উচিত ছিল বলে মনে করেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। কারণ, অধিনায়কের কাজ তো শুধু মাঠে নেমে নেতৃত্ব দেওয়া নয়; দলের মাঝে সৌহার্দ্যের বন্ধন তৈরি করাও তার দায়িত্ব। যেখানে সাকিব পিছিয়ে আছেন বলেই অনেকে মনে করেন।

এই বিভাগের আরও খবর