img

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের ভারতকে খোঁচা দিল তুরস্ক। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কয়েকদিন আগেই উজবেকিস্তানে এসসিও সম্মেলন চলাকালীন এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দু’জনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।গতকাল সাধারণ সভায় নিজের ভাষণে এরদোগান বলেন, “১৯৪৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কাশ্মীরে শান্তিস্থাপন করতে পারেনি ভারত (India) ও পাকিস্তান। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আশা করছি, কাশ্মীরে চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে দুই দেশ।” তবে, এবার নিজের মন্তব্যে অনেকটাই সাবধানী ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। অন্যবারের মতো এবারের ভাষণে তিনি কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। এদিকে, এরদোগানের মন্তব্যের পালটা দিয়ে সাইপ্রাস প্রসঙ্গ তুলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত সপ্তাহে উজবেকিস্তানে এসসিও সম্মেলন চলাকালীন এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দু’জনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এরদোগান ও মোদির করমর্দনের ছবিও পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসসিও সাক্ষাতে দিল্লি ও আঙ্কারার সম্পর্কে জমাট বাঁধা বরফ খুব একটা গলেনি। এখনও ‘বন্ধু’ পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়িয়েছে তুরস্ক।উল্লেখ্য, শুধু কাশ্মীর প্রসঙ্গে নয়, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও বারবার পাকিস্তানের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে তুরস্ক। কয়েকদিন আগেই হামলাকারী ড্রোন বিক্রির প্রসঙ্গে এরদোগান সরকার একটি প্রতিক্রিয়া দেয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেখানে বলা হয়, ভবিষ্যতে কোনও দিনই নয়াদিল্লিকে হামলাকারী ড্রোন বিক্রি করবে না আঙ্কারা। প্রসঙ্গত, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে তুরস্কের ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, তুরস্কের ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েই রুশ বাহিনীকে রুখে দিয়েছে ইউক্রেনের সেনা।

এই বিভাগের আরও খবর