img

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের হাত থেকে দেশ ও দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। এতে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ। 

সমাবেশ শেষে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা বের হয়।নাইটিঙ্গেল মোড় পাড় হওয়ার আগেই পুলিশ বাধা দেয়। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। মহিলা দলের শোভাযাত্রা আর সামনে এগোতে পারেনি। এই শোভাযাত্রা নাইটিঙ্গেলের মোড় ঘুরে পুনরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। 

শোভাযাত্রার আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে কি এনেছেন? এর আগে যতবার গেছেন, ততোবারই দিয়ে এসেছেন। তিনি (প্রধান প্রধান শেখ হাসিনা) নিজেও স্বীকার করেছেন, ভারতকে তিনি যা দিয়েছেন, তার জন্য তারা সারা জীবন স্মরণ রাখবেন। কিন্তু আমাদের স্মরণ রাখার মতো কিছু আনতে পারেননি। এবারের সফরে গেছেন, অনেক কথা বলেছিলেন, অনেক চুক্তি হবে। কিন্তু কোনো চুক্তি করতে পারেননি, করেছেন কতগুলো সমঝোতা স্মারক। স্মারক মানে হচ্ছে ইচ্ছে পোষণ করা। চুক্তি না হলে এই স্মারকের কোনো মূল্য নেই। 

কূটনীতিতে এই সরকার সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সিনিয়র সদস্য বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বিরাট বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে রোহিঙ্গা নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি। আমাদের সীমান্তে প্রতিনিয়ত হত্যা, সীমান্ত দিয়ে নানা ধরনের মাদক এদেশে চোরাকারবারিদের মাধ্যমে আসে-এগুলো বন্ধের ব্যাপারেও কোনো কথা বলেননি। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে কোনো কথা বলেননি। আমরা জানি না এই সফরের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা। 

ড. মোশারর বলেন, এই সরকারের পক্ষে কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, অর্থনীতিতে লুটপাট করে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে। এই সরকার অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। গণতন্ত্র দিতে পারবে না, ভোটাধিকার দিতে পারবে না। 

তিনি বলেন, এই সরকারের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাতে দেশে ফিরে এসে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করা হবে। এ জন্য এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। কোনো স্বৈরাচারী সরকার আপসে ক্ষমতা ছেড়ে দেয় না; ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথের দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথে আমাদের ফয়সালা করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর