img

খুলনা মহানগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদ ও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক গত মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়েছেন। স্থানীয় ও ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, পূর্বশত্রুতা ও স্থানীয় পারিবারিক বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য বিএনপিও এ ঘটনায় দলগতভাবে কাউকে দায়ী করেনি। 

গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নগরের দৌলতপুরে বিএল কলেজের দ্বিতীয় গেট এলাকায় ওই গুলির ঘটনা ঘটে।রিয়াজ ও রফিক মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা তাঁদের গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। রিয়াজের ডান হাতে একটি ও রফিকের পিঠে তিনটি গুলি লেগেছে। 

চিকিৎসাধীন রিয়াজ শাহেদ বলেন, ‘কারা, কী উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, বুঝতে পারছি না। তবে লোকজন ছুটে না এলে ওরা আমাদের বাঁচতে দিত না। ’

নগরের দৌলতপুর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ভুক্তভোগীরা দ্রুত মামলা করবেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। 

মহানগর বিএনপি নেতারা এক বিবৃতিতে রিয়াজ ও রফিককে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন। অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন। 

রিয়াজের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, গত ২৯ জুন বয়রা এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বোমা হামলায় নিহত হন রিয়াজের মামা জুলকার নাঈম মুন্না। আওয়ামী লীগ নেতা ও দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হালিম গাজী হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ছিলেন মুন্না।

এই বিভাগের আরও খবর