img

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সরকার সিগারেট কোম্পানি থেকে যে পরিমাণ আয় বা রাজস্ব পায়, তার চেয়ে চিকিৎসা খাতে ব্যয় বেশি হয়। এ ছাড়া লবিং আতঙ্কে শক্তভাবে অনেক সিদ্ধান্ত হয় না। স্ট্রিক্টলি দেখলে এ খাত থেকে বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বুধবার (২৪ আগস্ট) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসিতে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকজাত পণ্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপবিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েয় অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, ত্রুটিপূর্ণ কর কাঠামোর জন্য সরকার রাজস্ব কম পায়। যদি কর কাঠামো সিগারেটের ওপর সঠিকভাবে দেয়া হয়, তাহলে সিগারেট ব্যবহারের পরিমাণ কমবে ও রাজস্ব আদায় বেশি হবে। এ ক্ষেত্রে মূল্যের ওপর করারোপ না করে শলাকা বিক্রির পরিমাণের ওপর কর আদায় করতে হবে।

অনুষ্ঠানে গবেষকরা বলেন, ক পরিমাণ সিগারেট বিক্রি করা হয় এবং ওজন-আকার সবকিছুর ওপর করারোপ করতে হবে।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনে তামাক গবেষক সুশান্ত সিনহা বলেন, এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি সিগারেট সেবন হয় বাংলাদেশে। এ ছাড়া তামাক কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ রাজস্ব দেয়, তার ৯৬ শতাংশই জনগণের দেয়া ভ্যাট। তারা এসব অর্থ নিজেদের বলে শুধু জমা দেয়ায় এনবিআর থেকে পুরস্কৃত হয়।

প্রবন্ধে বলা হয়, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা তামাক কোম্পানির সঙ্গে জড়িত থাকায় ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বিভিন্ন জায়গায় লবিং করে স্বার্থ আদায় করছে। বাজারে সব স্তরের সিগারেটের নিম্নস্তর ধরে একটি স্তরে কর আদায় করলে এক বছরেই সরকার রাজস্ব পাবে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন, স্টপ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা জড়িয়ে পড়ায় তামাক কোম্পানি সরকারকে ঠকাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সঠিক কর ব্যবস্থায় সিগারেট থেকে কর আদায় হলে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা ফ্রি দেয়া যাবে।

সেমিনারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর