img

যাদের গাছ পছন্দ তারা প্রায়ই ছোট বারান্দাকে ভরিয়ে তোলেন সবুজের সমারোহে। নিয়মিত করেন গাছের যত্ন আর পরিচর্যা। এ পরিচর্যাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিতে টবের গাছগুলোতে ব্যবহার করতে পারেন জৈব কীটনাশক।

গাছের বেঁচে থাকার জন্য যেমন পুষ্টির প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন রয়েছে কীটনাশকের। গাছের বিভিন্ন ধরনের রোগ, পোকার আক্রমণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই কীটনাশক ব্যবহার করা অতি জরুরি। তাই আসুন জেনে নিই কীভাবে ঘরোয়া উপাদান দিয়েই গাছের জৈব কীটনাশক তৈরি করা যায়।

১. নিম: জৈব কীটনাশকের মধ্যে প্রথমেই বলা যায় নিমের স্প্রের নাম। স্প্রে তৈরি করতে পাতার রস অথবা নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন। ১ লিটার সাবান পানিতে নিমপাতা ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখেও আপনি এটি তৈরি করতে পারেন।

২. লবণ:  মাকরসা ও মাইট আক্রান্ত গাছের জন্য লবণ স্প্রে বেশ কার্যকরী। যেকোনো রোগ প্রতিরোধ কিংবা পোকার আক্রমণ রোধ করতে সপ্তাহে একদিন গাছে লবণ পানির স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।

৩. তামাক: নিম পাতার মতো তামাক পাতাও গাছের সুরক্ষা তৈরি করতে পারে। নিম পাতার স্প্রে তৈরির মতোই তামাক পাতার স্প্রে তৈরি করতে পারেন।

৪. খনিজ বা উকেলিপ্টাস তেল: যদি গাছের পাতা বা মূলে পোকার ডিম দেখতে পান তবে সেখানে খনিজ তেল বা উকেলিপ্টাস তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এতে কীট পতঙ্গের বংশ বিস্তার কমবে আর গাছ থাকবে সুরক্ষিত।

৫. নিম ও রসুন: নিম আর রসুনের রস একসঙ্গে একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এরপর এই স্প্রে গাছে বা ফসলে ছিটালে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষা করা  যায়।

পরিবেশ দূষণ সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি উদ্বিগ্নের বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে গাছে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য  হুমকির সমান। তাই গাছের পরিচর্যায় রাসায়নিক নয়, জৈব কীটনাশকই বেছে নেয়া উত্তম।

এই বিভাগের আরও খবর