প্রতি পিস ডিমে লাভ ৫ টাকা!
উৎপাদক পর্যায়ে ডিমের ডজন ১০২ টাকা হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে দেড়শ' টাকা করে। এতে ভোক্তাদের একটি ডিম কিনতে হচ্ছে সাড়ে ১২ টাকায়। কিন্তু উৎপাদক পর্যায়ে খামারিরা প্রতিটি ডিমের দাম রাখছেন ৮ টাকা থেকে সাড়ে ৯ টাকা। পাইকাররা প্রতিটি ডিমেই লাভ করছেন ৪-৫ টাকা করে।
ডিমও এখন চড়া দামের পণ্য। প্রতি হালি ডিম কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকায়। কয়েকদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকায়। সপ্তাহখানেক ধরে রেকর্ড পরিমাণ দামবৃদ্ধি। এর আগে ডিমের দামের এতটা বৃদ্ধি দেখা যায়নি। এখন প্রতিটি ডিম কিনতে হচ্ছে সাড়ে ১২ টাকা ও তার বেশি।
নিত্যপণ্যের একের পর এক ঊর্ধ্বগতিতে ডিম যেখানে ছিল সস্তার মধ্যে ভালো খাবার তাতেও এখন উত্তাপ। তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হুট করে পণ্যটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার পেছনে পোল্ট্রি খামার, মধ্যস্বত্বভোগী ও ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন ভোক্তারা।
এ ব্যাপারে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী লোকমকান হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, 'তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দাম বেড়েছে পোল্ট্রি খাদ্যের। এতে করে লোকসান ঠেকাতে ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে।'
সিরাজগঞ্জের শিয়ালকোলের লোকমান হোসেনের এ খামার থেকে প্রতিদিন ৯ হাজার ডিম পাইকারদের কাছে সরবরাহ করা হয়। তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর গত সপ্তাহ থেকে প্রতিটি ডিমের জন্য তিনি রাখছেন ৮ থেকে সাড়ে ৮ টাকা। কিন্তু সে ডিম ভোক্তা পর্যায়ে গিয়ে ঠেকছে সাড়ে ১২ টাকায়। খামারিদের দাবি, পরিবহন খরচ যোগ করলেও ডিমপ্রতি বাড়ার কথা সর্বোচ্চ ২৭ পয়সা। কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে যেতে যেতে বিভিন্ন পর্যায়ে হাত বদলের কারণে সিন্ডিকেট করে ডিমের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
কেবল সিরাজগঞ্জ নয়, রাজশাহীতেও একই অবস্থা। খামারগুলোতে মুরগির খাদ্যের দাম বাড়ায় আর লোডশেডিংয়ের কারণে ডিম প্রতি রাখা হচ্ছে সর্বোচ্চ সাড়ে ৯ টাকা করে। কিন্তু পরিবহন খরচের অজুহাত দেখিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ খামারিদের।
ডিম উৎপাদনকারী বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে বলে দাবি বগুড়ার খামারিদের। খামারিরা জানান, কাজী ও সিপি এগ্রো ফার্ম ডিমের দাম বাড়ালে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে গিয়ে বাড়াতে হয় দাম। যদিও তারা ৮-৯ টাকা দামে প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছে কিন্তু তা খুচরা বাজারে যেতে যেতে বেড়ে হয় ১৩ টাকা পিস।