img

অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) নিষিদ্ধ করেছে ফিফা- এই খবর হয়তো কারোরই অজানা নয়। ভারতের এমন দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়াল পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন (পিএফএফ)। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ফেসবুকে এক পোস্টে ভারতের প্রতি সহমর্মিতা জানায় পিএফএফ।

সহমর্মিতা জানানোর পাশাপাশি ভারত আন্তর্জাতিক ফুটবলে দ্রুতই ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেছে পিএফএফ। ফেসবুক পোস্টে তারা বলেছে, ‘একতা ও অনুপ্রেরণা দেয়ার শক্তি ফুটবলের আছে। পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন মনে করে এআইএফএফ দ্রুতই ফুটবলে ফিরতে পারবে। পাশাপাশি সামনের বছরগুলোতে তারা আমাদের উদ্দীপনাও দেবে। তাদের এমন দুঃসময়ে আমাদের ভালোবাসা রইল।’

১৬ আগস্ট ভারতকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ফিফা আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে জানায়, ব্যুরো অব ফিফা কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে এআইএফএফকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ এ সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের অনুচিত প্রভাবের ফলে ফিফা সনদের পরিষ্কার লঙ্ঘন হয়েছে।

কয়েক মাস আগে এআইএফএফের সংবিধান সংশোধন করে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। স্বশাসিত ক্রীড়া সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ফিফার আইন বিরুদ্ধ। তাই এই কমিটির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা।

জানা যায়, মেয়াদ ফুরিয়ে যাবার পরও এআইএফএফের সাবেক সভাপতি প্রফুল প্যাটেল গদি দখল করে রেখেছিলেন। তা নিয়েই মূলত ভারতীয় ফুটবলে সংকটের শুরু। ২০০৮ সালে প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সীর বদলে এআইএফএফের প্রধান নির্বাচিত হন প্যাটেল। ভারতের ফেডারেশন থেকে খুব অল্প সময়েই এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি নির্বাচিত হন, সদস্য হয়েছেন ফিফা কাউন্সিলের।
 


নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিন মেয়াদেই ফেডারেশনের প্রধান নির্বাচিত হতে পারতেন। সে অনুযায়ী প্যাটেলের মেয়াদ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়ে গেছে। তবে এর মধ্যে নতুন নির্বাচন দেয়া হয়নি। নতুন নির্বাচন হলেও সেটিতে আর প্যাটেলের প্রার্থিতার আবেদনের সুযোগ নেই। কিন্তু নির্বাচন না হওয়ায় প্যাটেলই চেয়ারে থেকে যান।

এই বিভাগের আরও খবর