img

বাংলাদেশকে ঋণ দিতে কোনো শর্ত আরোপের প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এতে অবসান হলো আলোচিত এ ঋণ প্রস্তাব নিয়ে দেশ-বিদেশে চলমান সব জল্পনা-কল্পনার।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশের অর্থনীতি বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রধান রাহুল আনান্দ একথা জানান। 

ব্রিফিংয়ে আইএমএফের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রধান স্পষ্ট করেই বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাপার। এর সঙ্গে আইএমএফের ঋণের কোনো সম্পর্ক নেই। 

চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে গত মাসে আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির ঝুঁকি কমাতে ঋণদানে সম্মতও হয় আইএমএফ। সংস্থাটির ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবল ট্রাস্ট (আরএসটি)’ থেকে এ ঋণ দেয়া হবে বলে জানানো হয়।

চলতি মাসের শুরুর দিকে (৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে আইমএফ জানায়, বাংলাদেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ এই ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। ইতোমধ্যে এই ফান্ড থেকে অর্থ পেতে বাংলাদেশ যোগ্যতা অর্জন করেছে।

যদিও শর্তের বিষয়ে সরকার পরিষ্কার করে কিছু বলেনি। তবে যেকোনো ঋণের ক্ষেত্রেই সংস্থাটি কিছু নির্দিষ্ট শর্ত দিয়ে থাকে। ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফ বাংলাদেশকে একইরকম শর্ত আরোপ করতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।

এ ঋণ নিয়ে এখন আইএমএফ এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। গণমাধ্যমে খবর এসেছে যে, আইএমএফ বাংলাদেশকে শর্ত দিয়েছে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি তুলে নেয়ার জন্য। এজন্য সরকার এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর