img

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি। এ সময় মানবপাচার রোধে বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ। এরমধ্যে রয়েছেন র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এবং বর্তমানে পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদও।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ আয়োজিত পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে তাকে দাওয়াতের পর আবারও আলোচনায় আসে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ। এ ছাড়া দুদেশের যে কোনো পর্যায়ের প্রতিনিধি মিলিত হলেই উঠে আসছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর বিভিন্ন তৎপরতা নিয়ে সমালোচনা, প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন পিটার হাস। 

তিনি বলেন, আমরা কেবল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই নয়, দুদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। এ দেশের আইনশৃঙ্খলার যথেষ্ঠ উন্নয়ন হয়েছে। তবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে এ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা উন্নয়নে আরও কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন মেনেই র‌্যাব-পুলিশ তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে রাষ্ট্রদূতকে।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়েই ৩১ আগস্ট থেকে পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে বেনজির আহমেদের যোগদানের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো ইলিগ্যাল অ্যাক্টিভিটিস কেউ যদি করে তাকে আমাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। আমি বলেছি, র‍্যাব এবং পুলিশের মধ্যে যাদের এমন ইলিগ্যাল অ্যাক্টিভিটিস পাওয়া গেছে তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে র‌্যাবের ওপর মার্কিনি নিষেধাজ্ঞার কারণ। ভূ-রাজনৈতিক কারণেই বাংলাদেশের ওপর দেশটির চাপ বাড়ছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বার্থ তারা রক্ষা করে। ভূ-রাজনৈতিক ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি আছে সেখানে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ একোটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।

চীন ও তাইওয়ান সংকট ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে নতুন করে ভাবাচ্ছে পরাশক্তিধর দেশটিকে।

এই বিভাগের আরও খবর