কিমকে পুতিনের চিঠি
উত্তর কোরিয়া নেতা কিম জং–উনকে চিঠি লিখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চিঠিতে পুতিন বলেছেন, দুই দেশ যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত করবে। সোমবার (১৫ আগস্ট) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
১৫ আগস্ট উত্তর কোরিয়ার স্বাধীনতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে কিমকে চিঠি লেখেন পুতিন। এতে বলেন, দুই দেশের স্বার্থেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রয়োজন। এই সম্পর্ক কোরীয় উপদ্বীপ ও উত্তর-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে সহায়তা করবে।
উত্তর কোরিয়ার বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, কিমও পুতিনকে চিঠি লিখেছেন। এতে তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। ওই সময় কোরীয় উপদ্বীপ জাপানের দখলে ছিল।
চিঠিতে কিম আরও বলেন, এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে ‘কৌশলগত ও পরিকল্পিত সহযোগিতা, সমর্থন ও সংহতি’ একটি নতুন স্তরে পৌঁছেছে, যা শত্রুভাবাপন্ন সামরিক বাহিনীর হুমকি ও উসকানিকে ব্যর্থ করে দিতে তাদের যৌথ প্রচেষ্টারই অংশ।
২০১৯ সালে পুতিনের সঙ্গে কিমের এক বৈঠককালে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তির ভিত্তিতে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন কিম।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে মস্কোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া গত জুলাই মাসেই পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী স্বাধীনতাকামীদের দুটি স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় পিয়ংইয়ং।
এরই ধারাবাহিকতায় এ দুটি অঞ্চলে নির্মাণ ও অন্যান্য কাতে সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকদের পাঠানোর সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ কারণে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ইউক্রেন।