img

চালের বাজারেও নেই স্বস্তি। সপ্তাহ ব্যবধানে একদিনেই কেজিতে দাম বেড়েছে ৩ টাকা পর্যন্ত। আর ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে ব্রয়লার মুরগির কেজি। তিনদিনেই বেড়েছে ৫০ টাকা। দামবৃদ্ধির দৌড়ে পিছিয়ে নেই ডিমও। খুচরায় প্রতিহালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। ক্রেতাদের দিশেহারা অবস্থা।

আকাশচুম্বী দামের কারণে মাছ কিংবা গরুর মাংস যখন নাগালের বাইরে তখন তুলনামূলক কম দামের ব্রয়লার মুরগি কিনতে শুক্রবার (১২ আগস্ট) কল্যাণপুর নতুন কাঁচাবাজারে আসেন ক্রেতারা। কিন্তু ২০০ টাকা কেজি দাম শুনে যেন আকাশ থেকে পড়েন ক্রেতা।

তারা বলছেন, এভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে উঠেছে। ৫ থেকে ৭ দিনের ব্যবধানে যে দাম বেড়েছে, তা অবাক হওয়ার মতোই।

বিক্রেতার বলছেন, আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তেলের দাম বাড়ার কারণেই সব কিছুর দাম বেড়েছে।

শুধু ব্রয়লার মুরগি নয়, প্রতিডজন ফার্মের ডিমের দাম উঠেছে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। হিসাবে না মেলায় ভালোর পরিবর্তে ভাঙা ডিম নিয়ে ঘরে ফিরেছেন গার্মেন্ট কর্মী মোখলেছুর।
সরকারি সংস্থা টিসিবির গত তিনদিনের হিসাব বলছে, এ সময় ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা। তবে বাজারের বাস্তব চিত্র বলছে, দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। ফার্মের ডিমের দাম প্রতিহালিতে ৩ থেকে ৭ টাকা বাড়তির কথা বললেও দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালি।

দাম বাড়ায় কেউ খালি হাতে আবার কেউবা কিনেন কম পরিমাণ।

এক ক্রেতা বলেন, ৫০০ টাকা আয় করে মাছ কিনলাম ৪০০ টাকায়। তাহলে বাকি পণ্য কিনব কীভাবে?

ডিম ও মুরগির অস্বাভাবিক দাম বাড়ার দায় নিতে চান না খুচরা বিক্রেতারা। তাদের দাবি, আড়তদার ও উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বাড়াচ্ছে দর।

বাজারে অন্যান্য মুরগির মধ্যে প্রতিকেজি দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা আর পাকিস্তানি মুরগি কিনতে খরচ হবে ২৭০ টাকা। আর সাদা ডিম প্রতি ডজন বিক্রি ১৩০ টাকায়।

এই বিভাগের আরও খবর