img

রাজধানীর গণপরিবহনে এখন থেকে ‘ওয়ে বিল’ ও ‘চেকার’ প্রথাও থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

বুধবার (১০ আগস্ট) সমিতির সভায় এসব সিদ্ধান্তের পাশাপাশি এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজ পর্যন্ত বাসের দরজা বন্ধ রাখা এবং রুট পারমিট অনুযায়ী স্টপেজে বাস থামাতে একমত হয়েছেন বাস মালিকরা। রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে সমিতির কার্যালয়ে এ সভা হয়।


বৈঠক শেষে সমিতির দফতর সম্পাদক সামদানী খন্দকার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।


আট মাসের মধ্যে গত শনিবার ডিজেলসহ চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।


ডিজেলের দাম সাড়ে ৪২ শতাংশ বাড়ানোর কারণে ওই দিন রাতেই নতুন হারে বাসভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসে। নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হলেও রোববার থেকে রাজধানীর বাসগুলোতে অনেক বেশি হারে ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ আসে। এ নিয়ে বিভিন্ন রুটে গত কয়েক দিনে যাত্রী অসন্তোষের ঘটনা সামনে আসে

সর্বনিম্ন দূরত্বের সরকার নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ নেয়ারও অভিযোগ আসে। বিশেষ করে ‘ওয়ে বিল’ ও ‘চেকার’ প্রথার নামে স্বল্প দূরত্বেও অনেক বেশি ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাসকর্মীদের বচসার ঘটনা ঘটে। এমন প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিন থেকে রাজধানীর গণপরিবহনে আলোচিত ‘ওয়ে বিল’ প্রথা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল বাস মালিক সমিতি।


বুধবারের সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। এতে ঢাকার ১২০টি পরিবহন কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।


সভায় বিআরটিএর চার্ট অনুযায়ী ভাড়া আদায় করা, চার্টের বাইরে ভাড়া আদায় না করা এবং প্রতিটি গাড়িতে ভাড়ার চার্ট টানিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক করতে সব বাস মালিককে নির্দেশনা দেয়া হয়।


গত শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। এরপর শনিবার রাতে বিআরটিএ-র সঙ্গে বৈঠক করে নতুন ভাড়ার হার ঠিক করে মালিক সমিতি। সভায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতি কিলোমিটারে ৩৫ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা। আগে ভাড়া ছিল ২ টাকা ১৫ পয়সা। অপরদিকে দূরপাল্লায় আগের ভাড়া ১ টাকা ৮০ পয়সার স্থলে ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ২০ পয়সা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর