img

ইউরোপের সবচেয়ে বড় জাপরিজজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ চুল্লিতে ফের গোলাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। রোববার (৭ আগস্ট) এমন অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর বলছে, রাশিয়ার সামরিক অভিযান ঠেকাতে দেশটির বিরুদ্ধে নতুন করে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনের পরমাণু বিদ্যুৎ কোম্পানি বলছে, শনিবার থেকে নতুন করে গোলাবর্ষণে স্থাপনাটির তিনটি বিকিরণ সেনসর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোলার টুকরায় তিন কর্মী আহত হয়েছেন।

এক টুইটবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার পরমাণু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোরালো পদক্ষেপ দরকার। রাশিয়ার পরমাণু শিল্প ও জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।

বর্তমানে রাশিয়া নিয়ন্ত্রীত অঞ্চলেই পরমাণু চুল্লিটি অবস্থিত। শুক্রবারও স্থাপনাটিতে গোলা নিক্ষেপ করে রাশিয়া। হামলার জন্য ইউক্রেনীয় বাহিনীকে দায়ী করছে মস্কো।

ইউক্রেনীয় পরমাণু কোম্পানি এনারগৌটম বলছে, বিদ্যুৎ চুল্লিটির তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ভাণ্ডারে সর্বশেষ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। খালি জায়গায় পরমাণু জ্বালানির ১৭৪টি কন্টেইনার রাখা ছিল। সেখানেই আঘাত হেনেছে রাশিয়ার গোলা।

কোম্পানিটি আরও জানায়, যদি বিকিরণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটে কিংবা পরমাণু জ্বালানির কন্টেইনার থেকে বিকিরণ বেরিয়ে আসে, তা যথাসময়ে শনাক্ত ও পদক্ষেপ নেয়া এখন আর সম্ভব হবে না।

এক বিবৃতিতে স্থানীয় রুশ প্রশাসন জানিয়েছে, ২২০ এমএম উরাগান মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম ব্যবহার করে পরমাণু চুল্লিতে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে প্রশাসনিক ভবন ও সংরক্ষণাগারের নিকটবর্তী এলাকা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান বলেন, এই গোলাবর্ষণের কারণে পরমাণু বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উচ্চ-ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইনে গোলার আঘাত লেগেছে। তেজস্ক্রিয় লিক শনাক্ত করার মধ্যেই একটি চুল্লিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে বাধ্য হয়েছেন অপারেটররা।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরুর দিকেই জাপরিজজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ চুল্লি দখল করে রুশ বাহিনী। কিন্তু এখনো চুল্লি চালাচ্ছেন ইউক্রেনীয় কারিগররা।

এই বিভাগের আরও খবর