img

হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে দুঃস্বপ্ন দেখল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জানানো টাইগাররা হারল দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও। সিকান্দার রাজা ও রেজিস চাকাভার জোড়া সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল স্বাগতক দল। সেই সঙ্গে ২০১৩ সালের পর এই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল তারা।

রোববার (৭ আগস্ট) দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের জন্য ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৯ রানেই চার উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় কাঁপছিল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে চাকাভা-সিকান্দার রাজার দুর্দান্ত পার্টনারশিপ ম্যাচে ফেরায় তাদের। ২০১ রানের পার্টনারশিপে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন দুজনে।
 

এরই মাঝে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন দারুণ ফর্মে থাকা সিকান্দার রাজা। এদিন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পান তিনি। ১২৭ বলে ৮ চার ও ৪ ছয়ে ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

সেঞ্চুরি করেছেন চাকাভাও। দারুণ বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে মাত্র ৭৪ বলে করেন ১০২ রান । তার ইনিংসে আছে ১০ চার ও ২ ছয়ের মার। হাসান মাহমুদের বলে ছয় হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। তবে সেঞ্চুরির পরেই মেহেদী মিরাজের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

২৫০ রানে চাকাভার বিদায়ের পর বাকি কাজটুকু রাজাকে নিয়ে সারেন টনি মুনিওঙ্গা। মাত্র ১৬ বলে ৩০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে পরাজয়ের লজ্জা উপহার দেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ২টি করে চার ও ছয়ের মার।

এর আগে নিজের দ্বিতীয় ওভারে মাহমুদ ফিরিয়েছেন ইনোসেন্ট কাইয়াকেও। ৭ রান করে আউট হয়েছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান।

আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান করেছে বাংলাদেশ। রোডেশীয়দের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন তামিম। তানাকার বলে মিড উইকেটে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন কাইতানোর হাতে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তামিমের এটি ৫৫তম হাফ সেঞ্চুরি। তামিমের আউটের পর বিজয়ও রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনি করেন ২০ রান।

তামিম-বিজয়ের উইকেট হারিয়ে ফেলার ধাক্কাটা সামলান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম মিলে। তারা দুজনে গড়েন ৫০ রানের জুটি। মিস্টার ডিপেন্ডেবল ২৫ রানে আউট হন মেধেভেরের বলে। নাজমুল হোসেন শান্তকেও আউট হন মেধেভেরে। ফিরে যাওয়ার আগে ৫৫ বলে ৩৮ রান করেন শান্ত।

ভুগতে থাকা বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। বলতে গেলে মিডল অর্ডারে টাইগাররা যে সংগ্রহ পায় তার সিংহভাগই আসে তার ব্যাট থেকে। আফিফ আউট হন ৪১ বলে ৪১ রান করে। বিপরীত প্রান্তে রিয়াদ থাকলেও তিনি ব্যাট করেন মন্থর গতিতে। তবে রিয়াদ শেষ দিকে কিছুটা হলেও নিজের ইনিংস মেরামত করতে সক্ষম হন। ৮৪ বলে তিনি করেন ৮০ রান।

বাকিদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫, তাইজুল ইসলাম ৬, তাসকিন আহমেদ ১ ও শরিফুল ইসলাম ১ রান করেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩ উইকেট নেন সিকান্দার রাজা। ওয়েসলে মেধেভেরে নেন ২ উইকেট। একটি উইকেট পান তানাকা চিভাঙ্গা।

বাংলাদেশের পক্ষে ৯ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ১০ ওভারে ৫০ রানের বিনিময়ে মেহেদী মিরাজও নেন ২টি উইকেট। বাকি এক উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।

এই বিভাগের আরও খবর