img

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেছেন, উভয় দেশের প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য পর্যাপ্ত কর্মী পাওয়া যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় ৭১ মিলনায়তনে ‘প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। 

এসময় তিনি বলেন, মালয়েশিয়া প্রস্তুত, আমরাও প্রস্তুত। কিন্তু সেদেশে পাঠানোর মতো পর্যাপ্ত কর্মী পাচ্ছি না। এরইমধ্যে আমরা ১৩টি এজেন্টের মাধ্যমে ২ হাজার ২০০ জনকে অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু আমরা আরও বেশি বেশি করে কর্মী পাঠাতে চাই।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত কর্মী না পাওয়ার বিষয়টি যারা লোক পাঠায় তাদের প্রশ্ন করুন। আমরাও জানতে চাই যে কেন তারা পর্যাপ্ত কর্মী প্রস্তুত করতে পারছেন না। আমরা খবর নেব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেব।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলা থাকার বিষয়টি জানিয়ে ইমরান আহমেদ বলেন, সে দেশে পাঠানোর কর্মী সংকট দেখা যাচ্ছে। মানুষ যাচ্ছে না। কারণ অন্য জায়গা থেকে জিনিসটি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না।

তবে এখানে কোনো সমস্যা থাকলে দেখা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেন মানুষ মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহী হয়। মালয়েশিয়া সরকারের কিন্তু বিভিন্ন খাতে শ্রমিক দরকার।


তিনি বলেন, অনেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও বেকার বসে আছেন, চাকরি নেই। অথচ তারাই যদি নার্সিংয়ে ঢুকতো, তবে চাকরির অভাব হতো না। ভোকেশনাল পাস করে স্ক্রু ড্রাইভার কীভাবে চালাতে হয় এটা শিখলেও কিন্তু চাকরির অভাব নেই। আজ জাপানে ছেলেমেয়েরা বয়স্কদের সেবক হিসেবে চাকরি করছে। তাদের বেতনও কিন্তু দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। কিন্তু আমরা এভাবে চিন্তা করি না। আমরা আগে চাকরিটা পেয়ে যেতে চাই।

সৌদি আরবে কাজের ব্যাপক সুযোগ থাকার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে লাখ লাখ মাদরাসা আছে, কিন্তু আরবি ভাষা শেখানো হয় না। কেউ আরবি ভাষা শেখায় না। অথচ সবাইকে কোরআন শরিফের হাফেজ বানিয়ে দেয়। এটা কিন্তু সৌদিতে চলে না। মাদরাসাগুলোর দায়িত্ব আরবি ভাষা শেখানো, কিন্তু এটা হয় না। মাদরাসার ছাত্ররা সৌদি ভাষা জানলে চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসত না। সৌদিতে যিনি ৮০০ থেকে ৯০০ রিয়াল বেতন পান, আরবি জানা থাকলে তার বেতন হতো ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ রিয়াল। এখানে ভাষাগত যোগাযোগের একটা বিরাট গ্যাপ আছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ