img

চলতি সপ্তাহেই ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, শুরুতে ঢাকা শহরের কিছু বিদ্যালয়ে এ টিকা দেয়া হবে। পরে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এ টিকাদান শুরু হবে।

সোমবার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. খুরশীদ আলম বলেন, শিশুদের টিকা নিয়ে আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকাও মজুত আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশে এলেই দিনক্ষণ ঠিক করে আমরা টিকা কার্যক্রম শুরু করব।

এর আগে গত ৩০ জুলাই পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের করোনাভাইরাসের টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছায়। 

স্বাস্থ্য অফিদফতরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক সেদিন সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষভাবে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের জন্য তৈরি মোট ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ ভ্যাকসিন সকালে দেশে এসে পৌঁছেছে। আমরা পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিনের প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডোজ পাব।

প্রাথমিকভাবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সি দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে এ টিকা দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) সূত্রে জানা গেছে, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মতো পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদেরও স্কুলগুলোতে কেন্দ্র বসিয়ে ফাইজারের এ বিশেষ টিকা দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার বিষয়ে গত ২৮ জুলাই এক আদেশ জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দেশে এ বয়সী শিশুর সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লাখ। এদের দেয়ার জন্য ৪ কোটি ১০ লাখ টিকার নিশ্চয়তা স্বাস্থ্য বিভাগ পেয়েছে। শিশুদের দুই ডোজ করে টিকা দেয়া হবে। এর জন্য টিকার প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডোজ।

এই বিভাগের আরও খবর