img

প্রকৃতির সৌন্দর্যে ডুব দিতে কে না চায়। এক্ষেত্রে কেউ বেছে নেয় পাহাড় আবার কেউ বেছে নেয় সমুদ্র। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বৈচিত্র্যময় লীলাভূমিতে যদি নিজেকে হারিয়ে ফেলতে চান তবে ঘুরতে আসতে পারেন এসব চমৎকার স্থানে।

শ্রাবণের এই সময় ভারতের যেসব স্থানে প্রকৃতি তার সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে সেগুলোর মধ্যে প্রথমেই যে স্থানের নামটি বলা যায় সেটি হলো কেরালা।

সুন্দর এই স্থানটিকে বলা হয় ঈশ্বরের নিজের দেশ। এর রূপে মুগ্ধ হয়ে অনেকে এ স্থানটিকে সৌন্দর্যের দেবীও বলে থাকেন। প্রাকৃতিক পরিবেশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আর ঝরণা দেখলে আপনার এ স্থানটিকেই মনে হবে পৃথিবীর স্বর্গ।

কেরালায় এলে অবশ্যই যে স্থানগুলো ঘুরে না আসলে আপনার ঘোরার আনন্দই মাটি হয়ে যাবে সেসব স্থান হলো মুন্নার, কোভালাম, তিরুবনন্তপুরম, কোঝিকোড়, বিকাল, ভারকালা, ওয়াইয়ানাদ, পুভার আইল্যান্ড, আথিরাপাল্লি, আল্লেপ্পি, জাতায়ুপারা আর্থ’স সেন্টার, স্বর্গালয়া ক্রাফটস ভিলেজ, নীলা নদী ইত্যাদি।

যাদের পাহাড় পছন্দ তারা এসব স্থানের মধ্যে বেছে নেবেন ওয়াইয়ানাদকে। কারণ পাহাড়ি এ এলাকার পুরোটাই সবুজে আচ্ছাদিত। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য লোভনীয় একটি জায়গা হতে পারে কেরালার আল্লেপি। যাদের সমুদ্র পছন্দ তারা ঘুরে আসতে পারেন প্রধান শহর ট্রিভান্দরুম থেকে মাত্র ৪০ মিনিট দূরত্বে কোভালামে। ১৯৭০ সালে এটি টুরিস্ট ম্যাপে জায়গা করে নেয়ার পর এর সৈকত এখন থাকে নানা পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত।

আর আপনি যদি উষ্ণমণ্ডলীয় স্বর্গ ভ্রমণের চেষ্টা করতে চান তবে লক্ষদ্বীপে। কেরালার উপকূলে অবস্থিত এ দ্বীপপুঞ্জকে সমৃদ্ধ করেছে ৩৬টি প্রবাল দ্বীপ।

তামিলনাড়ুতেও এমন অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে যেখানে বৃষ্টির সৌন্দর্য আরও সুন্দরভাবে প্রকৃতিতে ধরা দেয়। ওটি হলো এমনই একটি স্থান। ছবির মতো সুন্দর দৃশ্য র জন্য এই স্থানটিকে রোমান্টিক জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বর্ষায় বনভূমি, চা-বাগান, প্রবাহমান জলপ্রপাত, উপচেপড়া বাঁধ এবং মনোমুগ্ধকর আবহাওয়া চাইলে ভিড় জমাতে পারেন ভালপারাই স্থানে। আঁকাবাঁকা উঁচু পাহাড় আর চা বাগানের জন্য ঘুরে আসতে পারেন তামিলনাড়ুর মেঘমালতি স্থানটিতে।

অনেকেই সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করেন পৃথিবীর নানা দেশের আনাচে কানাচে। কিন্তু সমুদ্রের সব সৈকতের সৈৗন্দর্য দেখতে আপনাকে অবশ্যই আসতে হবে এই বেঙ্গালুরু। কেননা এখানে আপনি একসঙ্গে ৭ টি জনপ্রিয় সীবিচ দেখতে পাবেন।

এ সীবিচগুলো হলো প্যারাডাইস বিচ,  পানাম্বুর বিচ, দীর্ঘতম প্রাকৃতিক বিচ মেরিনা, মালাবার সৈকতে অবস্থিত বেকাল বিচ,  অরোভিল বিচ। এছাড়া যেতে পারেন কারওয়ার বিচে। এই বিচের আশপাশেই আপনি আরও পাবেন তিলমাতি বিচ, মাজালি বিচ, বিনাগা বিচ ইত্যাদি। ঘুরে আসতে পারেন আরব সাগরের কোল ঘেঁষে কাপুবিচেতেও।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ভারতের আরও কিছু মনোমুগ্ধকর স্থান রয়েছে। যেমন ভিশাখাপত্তম জেলায় অবস্থিত লাম্বাসিঙ্গি। তুষারপাতের অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য এই স্থানটিকে অন্ধ্রপ্রদেশের কাশ্মীরও বলা হয়ে থাকে।

ভারতের মানচিত্রের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত নজরকাড়া সমুদ্রসৈকত এবং ভারত মহাসাগরের দৃশ্যাবলীর জন্য বিখ্যাত কন্যাকুমারী স্থানটি। খাড়া পাহাড়ের মিশ্রণ, পর্বত, উপত্যকা ও সাগর মিলে এক অসাধারণ দৃশ্য কন্যাকুমারীর প্রকৃতিতে তৈরি হয় এই বর্ষা মৌসুমেই।  

এই বিভাগের আরও খবর