img

কখনো কখনো শিশু আশপাশের পরিবেশ থেকে মিথ্যা বলা শিখে। আবার কখনো পরিবার থেকে। তাই হঠাৎ যদি খেয়াল করেন শিশু মিথ্যা বলছে, তবে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হতে হবে। কেননা, পরবর্তীতে তা শিশুর অভ্যাসে পরিণত হয়ে পড়বে।

অনেক সময় শিশুকে বলতে দেখা যায়, স্কুলে যেতে ইচ্ছা করছে না, পেট ব্যথা করছে। দুধ খেতে ইচ্ছা করছে না, বমি বমি পাচ্ছে। অথচ সেরকম কিছুই নয়। সেক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো দেখলে কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন।

বড় হওয়ার সময়ে অনেক শিশুই বাবা-মায়ের কাছে ছোট ছোট মিথ্যা বলে। তা নিয়ে অনেকে মজাও করেন। কিন্তু বিষয়টি মজার নয়। এ সময়েই সাবধান হতে হবে। সাধারণত ৪-৫ বছর বয়স থেকে মিথ্যা বলা শুরু হয়। এ সময়ে শিশুকে যেমন শেখাতে হবে যে সত্যি বলা প্রয়োজন, তেমনই বুঝতে হবে কেন সে সত্য গোপন করছে। 

সব খেয়াল করলে দেখা যাবে এই সময় থেকে সমাজ এবং আশপাশের মানুষের বিষয়ে সচেতন হচ্ছে শিশুটি। কার কোন কথা খারাপ লাগবে, কোনটি ভালো লাগতে পারে— এ সব ভাবনাও আসে সেখান থেকেই। আর যা বড়দের অপছন্দের বলে তার ধারণা হবে, সে সব কাজের বিষয়ে সে মিথ্যা বলা শিখতে পারে। কিন্তু এই প্রবণতা বাড়তে দিলেই মুশকিল। তাতে মিথ্যা বলা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যেতে পারে। আর পরে এ স্বভাবই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।

যদি দেখেন শিশু মিথ্যা বলছে, তবে প্রথমেই বকা দেয়ার প্রয়োজন নেই। বরং তাকে বোঝাতে হবে যে, মিথ্যা বলাও খারাপ লাগার কারণ হতে পারে। যদি সে এমন কিছু লুকাতে চায়, যা তার বাবা-মায়ের পছন্দের নয়, তবে তাকে সে কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে শিখতে হবে। তাকে বোঝাতে হবে যে, মিথ্যা কথা কোনো সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে না।

আর একটি বিষয়ও বোঝানো দরকার। ছোট ছোট কথায় মিথ্যা বলা থেকে বড় বিষয়েও এই মিথ্যা বলার প্রবণতা তৈরি হয়ে যায়। আর তা ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ।

সূত্র: আনন্দবাজার

এই বিভাগের আরও খবর