img

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে পরামর্শ দেয়া বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি করে দিয়ে বলছেন, মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাব বন্ধের সুযোগ আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি দুই সপ্তাহে সংক্রমণ সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। কাজেই প্রাদুর্ভাব চূড়ায় পৌঁছাতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ শাখা পূর্বাভাস দিয়ে বলছে, আগামী ২ আগস্ট নাগাদ ৮৮টি দেশে ২৭ হাজার মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হতে পারে। বর্তমানে প্রায় ৭০টি দেশে ১৭ হাজার ৮০০ মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

বিজ্ঞানীরা বলেন, সংক্রমণ নিয়ে পূর্বাভাস দেয়া কঠিন। কিন্তু কয়েক মাস ধরে সংক্রমণ টেকসই থাকতে পারে। কাজেই মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে।-খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারিবিষয়ক অধ্যাপক অ্যান্নে রিমোইন বলেন, আমরা প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি অবস্থায় আছি। কাজেই রোগটির প্রাদুর্ভাব বন্ধের সুযোগ আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে আসছে।
 

জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল হেলথের পরিচালক অ্যান্তোইন ফ্ল্যাহল্ট বলেন, সংক্রমণ পরিষ্কারভাবে নিয়ন্ত্রণহীন। অর্থাৎ রোগটি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

গেল কয়েক দশক ধরে আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ থাকলেও তাতে খুব একটা গুরুত্ব দেয়া হয়নি। কিন্তু গেল মে মাস থেকে রোগটি আফ্রিকার বাইরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বিশেষ করে ইউরোপীয় অঞ্চলে সংক্রামক রোগটির প্রকোপ মারাত্মক রূপ নিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেন, মাঙ্কিপক্সে বিশ্বজুড়ে বড়সংখ্যক মানুষের মৃত্যু না হলেও রোগটির বিস্তার অব্যাহত রয়েছে। যা খারাপ সংবাদ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি অবস্থাবিষয়ক পরিচালক মাইক রায়ান বলেন, মাঙ্কিপক্সের জন্য নতুন নাম বাছাই করা হচ্ছে। রোগটিকে যাতে বর্ণবাদীরা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, তা নিশ্চিত  করতেই রোগটির নতুন নাম দেয়া হচ্ছে।

এদিকে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে আরও জোরালো ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরআগে রোগটিকে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এই বিভাগের আরও খবর