img

সব প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী আগস্টেই অনুমোদন পাবে বাফুফের ৪৫০ কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট। এ জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ডিপিপি তৈরির প্রক্রিয়া শেষ করেছে বলে জানিয়েছে বাফুফে ডেভেলপমেন্ট কমিটি। এ অর্থের বড় অংশ খরচ করা হবে নতুন দুটো একাডেমি তৈরির কাজে। এছাড়া জাতীয় নারী দল ব্যবস্থাপনাসহ কিছু অর্থ খরচ করা হবে বাফুফে ভবন সম্প্রসারণের জন্য।

উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে গতি আনতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে ৪৫০ কোটির টাকার অর্থসহায়তা চেয়েছিল বাফুফে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রকল্পটি আমলে নিয়ে ডিপিপি তৈরির কাজ শেষে করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এবার ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষে প্রকল্প যাবে পরবর্তী ধাপে।

পাঁচ বছরের এ মেগা প্রজেক্টে বছর প্রতি ৯০ কোটি টাকা করে চাওয়া বাফুফের। যার প্রায় পুরো টাকাই খরচ হবে ফুটবল উন্নয়নে। বর্তমানে একটি এলিট একাডেমি আছে ফেডারেশনের। এ অর্থছাড় হলে ঢাকার বাইরে আরও দুটো একাডেমি করতে চায় ডেভেলপমেন্ট কমিটি।

বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক বলেন, 'যে কোনো একটা প্রকল্প অনুমোদনের আগে সেটার ফিজিবিলিটি স্টাডি করা প্রয়োজন হয়। তো এটা আসলে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তৈরি করে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে সাবমিট করেছি। মন্ত্রণালয়ে একটা মিটিং হয়েছে, একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। সেই কমিটিও এরই মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে। আশা করি, আগামী আগস্টের মধ্যেই আমাদের ডিপিপি হয়ে যাবে। আমাদের এলিট একাডেমি ও আরও দুটি একাডেমি আমরা তৈরি করব। যার জন্য আমরা অর্থ বরাদ্দ রেখেছি।'

কমপক্ষে সাতটি প্রজেক্টের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করতে চায় বাফুফে। জাতীয় পুরুষ এবং নারী দল ব্যবস্থাপনা, মানসম্মত কোচ নিয়োগ এবং ফুটবলারদের নির্দিষ্ট বেতন কাঠামোর আওতায় আনার বিষয়টি থাকছে পরিকল্পনায়। এছাড়া নারী ফুটবলারদের একাডেমিক কার্যক্রম বাড়াতে সম্প্রসারণ করা হবে বাফুফে ভবন।

মানিক আরও বলেন, 'বিএফএফ ভবনে মেয়েরা থাকে। আমরা এই ভবনের আরেকটা ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের প্রস্তাব রেখেছি, যেখানে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ মানে আরও একটি তলা যদি হয়, দুটি ফ্লোর যদি হয়, তাহলে আরও কিছু মেয়ে নিয়ে এই একাডেমির কলেবর আমরা বৃদ্ধি করতে পারব। ডিপিপিতে কিছু সংস্থান রেখেছি যাতে প্লেয়ারদের আমরা পারিতোষিক দিতে পারি, যেন তারা অন্য চিন্তা না করে খেলার মধ্যে তাদের মনোযোগটা বেশি দিতে পারে।'

এদিকে, সুখবর এসেছে কক্সবাজার স্পোর্টস কমপ্লেক্স নিয়েও। জমি বরাদ্দের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বন মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র পেলেই শুরু হবে এ প্রকল্প।

এই বিভাগের আরও খবর