পশুর হাট জমেনি, লোকসানের শঙ্কা খামারিদের
ঈদুল আজহা ঘনিয়ে এলেও রাজশাহী অঞ্চলের খামারগুলোতে লালন-পালন করা দেশি গরুর বেচাকেনা এখনও জমে ওঠেনি। খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার প্রভাব পড়েছে কোরবানির পশুর হাটে। তাই হাটে খুব একটা দেখা মিলছে না জেলার বাইরের ব্যাপারিদের। খামারিদের দাবি, উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় সিটি হাটে এখন লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে গরু-মহিষ।
টানা দুই বছর করোনা মহামারির প্রকোপ কাটিয়ে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন রাজশাহীর খামারিরা। তাই ঈদুল আজহা সামনে রেখে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু লালন-পালন করেন। তবে বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে বাইরের ব্যাপারিরা এখনো রাজশাহীর সিটি হাট থেকে কোরবানির পশু কিনতে আসছেন না।
খামারিরা বলছেন, বাজারে ক্রেতা নেই। এতে করে অলস সময় কাটাচ্ছেন তারা, শঙ্কায় আছেন ভবিষ্যত নিয়ে। ক্রেতা না থাকার কারণ হিসেবে খামারিরা দুষছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চলমান বন্যা পরিস্থিতিকে।
এদিকে, রোববার ও বুধবার সপ্তাহের দু'দিন বসছে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু বেচাকেনার সিটি হাট। হাটে বিপুল সংখ্যক দেশি গরুর পাশাপাশি স্বল্প সংখ্যক ভারতীয় গরু ও মহিষের আমদানি রয়েছে। খামারিরা বলছেন, গবাদিপশুর খাদ্যের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। কিন্তু হাটে ক্রেতা সংকটে লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে পশু।
তবে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মকর্তার মতে, বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে স্বাভাবিক হবে কোরবানির পশু বেচাকেনা।
রাজশাহীর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের উপপরিচালক আব্দুল মজিদ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আস্তে আস্তে বদলে যাবে হাটের হালচাল, বাড়বে কেনাবেচা।
প্রাণিসম্পদ দফতরের দেয়া তথ্যমতে, জেলায় ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১৮টি কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে ৩ লাখ ৯৩ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে।