img

বর্ষা মানেই ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের খেলা। বর্ষার বজ্রঘাতে প্রতিবছর প্রকৃতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা। বজ্রপাত থেকে মানুষ ও পশুর প্রাণহানি ও আহতের সংখ্যা কমাতে মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।

সরকার ২০১৫ সালে বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা দেয়। তখন বজ্রপাতরোধে সারা দেশে তালগাছ রোপণ কর্মসূচিও হাতে নিয়েছিল সরকার। তালগাছ খুবই ধীরগতিতে বৃদ্ধি পায়। তালগাছ পুরোপুরি পরিণত হতে ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত লেগে যায়। এসব গাছ থেকে সুফল পেতে আরও অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। তাই আধুনিক প্রযুক্তির এ যুগে সনাতন পদ্ধতির ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল না থেকে আধুনিক বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপনের ব্যাপারে মত দেন এ সংশ্লিষ্টরা।

 

ইতোমধ্যে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশে বিভিন্ন এলাকায় লাইটনিং এরেস্টার বা বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলাতে বিভিন্ন স্থানে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করতে দেখা গেছে।

সরকারিভাবে মিরপুর উপজেলার মিরপুর থানা বিল্ডিং, উপজেলা পরিষদ বিল্ডিং, ছাতিয়ান হাই স্কুল সংলগ্ন বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকাসহ মোট ১৭টি স্থানে বজ্র নিরোধক দণ্ড বসানো হয়েছে।


এ বিষয়ে উপজেলার চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন জানান, বজ্রপাতে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। আমি বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর জন্য আমার  এলাকাতে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করছি। যেটি পর্যায়ক্রমে সকল স্থানেই স্থাপন করা হবে। বিশেষ করে আমি উঁচু বিল্ডিয়ের ছাদে, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্প ও জনসমাগম হয় এমন স্থানে এটি নির্মাণ করেছি। পর্যায়ক্রমে সকল স্থানে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হবে। বর্তমান সরকারের দুর্যোগ প্রতিরোধের এই উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। এতে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি ও আহতের সংখ্যা কমে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর