img

সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২৩৪ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস থেমেছে ৪০৮ রানে। টাইগার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করে স্বাগতিকদের লাগাম টেনে ধরেন পেসার খালেদ আহমেদ। ক্যারিবীয়দের চেয়ে ১৭৪ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে রোববার (২৬ জুন) দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করবে টাইগাররা।

তৃতীয় দিনের খেলা মাঠে গড়ানোরে কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টি শুরু হলে বাংলাদেশ সময় ৮টা ১৫ মিনিটে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে খেলা বিলম্বিত হওয়ায় এদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই মধ্যাহ্ন বিরতি দেয়া হয়। এরপর পৌনে ১০টার দিকে বৃষ্টি থামলে ১০টা ৭ মিনিটে আবার খেলা শুরু হয়। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারও করেন খালেদ আহমেদ।

ড্যারেন সামি স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের সকালে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। দিনের খেলা শুরু হওয়ার ঠিক পরের ওভারেই আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার জশুয়া ডি সিলভাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। আগের দিনের ২৬ রানের সঙ্গে মাত্র ৩ রান যোগ করেই ফেরেন তিনি।

মিরাজের পর উইন্ডিজের ইনিংসে হানা দেন খালেদ। তার বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আলজেরি জোশেফ। তিনি করেন ৬ রান। দ্রুত দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ যখন প্রতিপক্ষের লেজ গুটানোর স্বপ্নে বিভোর, ঠিক তখনই বৃষ্টি বাগড়া দেয়।

বৃষ্টির বাধা কাটিয়ে মাঠে ফিরেই উইকেট তুলে নেন পেসার খালেদ আহমেদ। এবারের শিকার ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কাইল মেয়ার্স। টাইগার পেসারের বলে সহজ ক্যাচ দেয়ার আগে ১৮ চার ও ২ ছয়ে ১৪৬ রান করেন।

মেয়ার্সের বিদায়ের পরে কেমার রোচ অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও জেইডস সিলসকে নিয়ে দলকে আরও ২৪ রান এনে দেন। রোচ ১৮ রানে অপরাজিত থাকলে ৯ রান করা ফিলিপকে শরিফুল ও ৫ রান করা সিলসকে ফিরিয়ে খালেদ ক্যারিবীয়দের লম্বা ইনিংসের লাগাম টেনে ধরেন।

বাংলাদেশের পক্ষে খালেদ আহমেদ ক্যারিয়ার সেরা ৫টি, মিরাজ ৩টি ও শরিফুল দুটি উইকেট নিয়েছেন। তবে সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেন কোনো উইকেটের দেখা পাননি।

এর আগে সেন্ট লুসিয়া টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি বাংলাদেশের জন্য খুব একটা সুখকর কাটেনি। যে মাঠে প্রথমদিন বাংলাদেশের ব্যাটাররা ব্যাট করতে নেমে শর্ষে ফুল দেখছিল, সেই একই মাঠে সারাদিন বল করে বাংলাদেশের বোলাররা মাত্র ৫টি উইকেটের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়। উল্টো কাইল মেয়ার্সের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় লিড নেয়ার পথে তারা।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় ‘ড্যারেন সামি স্টেডিয়ামের’ উইকেটটা যতটা পেসবান্ধব মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশের বোলিং দেখে আজ তা মনে হচ্ছিল না। বরং ব্রাথওয়েট-ক্যাম্পবেল জুটিতে ১০০ রান সংগ্রহ করে উইন্ডিজ শিবির ভালোই জবাব দিচ্ছিল। তবে জুটি ভাঙ্গার পর কিছুটা সময় বাংলাদেশ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছিল। এ সময় অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও পেসার খালেদ আহমেদ মিলে মাত্র ১ রানে ৩ উইকেটের পতন ঘটান।

কিন্তু জার্মেইন ব্লাকউডকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন কাইল মেয়ার্স। গতকাল বল হাতে মাত্র ৮ ওভার বল করেই বাংলাদেশের ২ উইকেট শিকার করা এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার জ্বলে উঠেছেন ব্যাট হাতেও। ব্লাকউড ৪০ রান করে আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মেয়ার্স। ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের মতো দ্বিতীয় শতকটিও তিনি পেলেন বাংলাদেশেরই বিপক্ষে।

এই বিভাগের আরও খবর