img

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রুশ বাহিনীর মূল টার্গেট ছিল ইউক্রেনের সেভেরোদোনেৎস্ক শহর দখল করা। শুক্রবার (২৪ জুন) লুহানস্ক অঞ্চলের ইউক্রেনীয় গভর্নর সেরহি হাইদাই জানান, সেভেরোদোনেৎস্ক শহর থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর একদিন পরই সেভেরোদোনেৎস্কের মেয়র জানালেন, শহরটি পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী।

শনিবার (২৫ জুন) সেভেরোদোনেৎস্কের মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক জাতীয় টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে বলেন, শহরটি এখন সম্পূর্ণ রাশিয়ার দখলে। তারা তাদের নিজস্ব শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। আমি যতদূর জানি, তারা সেখানে এক ধরনের কমান্ড্যান্ট নিয়োগ করেছে। খবর আল জাজিরার।

এদিকে শনিবার (২৫ জুন) ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। 

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, শনিবার পশ্চিম ও উত্তর ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বৃষ্টির মতো কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া।  

লভিভের গভর্নর ম্যাকসিম কোজিটস্কি অনলাইনে পোস্ট করা এক ভিডিওতে বলেন, পশ্চিম ইউক্রেনের লভিভ অঞ্চলের ইয়াভোরিভ ঘাঁটিতে কৃষ্ণ সাগর থেকে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।  
 

ইউক্রেনের উত্তরে জাইতোমির অঞ্চলের গভর্নর ভিতালি বুনেচকো বলেন, অঞ্চলটির একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রুশ হামলায় ইউক্রেনীয় এক সেনা নিহত হয়েছেন।  

তিনি জানান, জাইতোমির শহরের খুব কাছে একটি সামরিক অবকাঠামো ঘিরে রুশ বাহিনী প্রায় ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ও ধ্বংস করা হয়েছে।  

এদিকে পূর্ব-ইউক্রেনের দোনবাস প্রদেশের লুহানস্ক অঞ্চলের লিসিচানস্ক শহর চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনাবাহিনী। ফলে শহরটির হিরস্ক ও জোলোট এলাকায় আটকা পড়েছে প্রায় দুই হাজার ইউক্রেনীয় সেনা। শুক্রবার (২৪ জুন) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।

এই বিভাগের আরও খবর