img

স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে আগামীকাল রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় আজ দুপুর ১২টায় এক বণার্ঢ্য অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিকসহ হাজার হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী টোলপ্লাজায় প্রথম টোল দেন এবং এরপর তিনি সেতুর মাঝামাঝিতে আকাশ থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রদর্শিত সেতুর ভার্চুয়াল রংধনু আকারের এয়ারিয়াল শো উপভোগ করেন।


রাষ্ট্র মালিকানাধীন সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) আগামীকাল থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৩টি রুটে বাস পরিচালনা করবে।

বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে ৬৫ বাস পরিচালনা করব। এর অধিকাংশই এসি বাস। বর্তমানে শুধু খুলনা ও যশোর রুটে বিআরটিসি বাস চলে। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি পরিবহন কোম্পানির এসি ও নন এসি বাসও আগামীকাল সকাল থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচল করবে।

এরআগে গত ১২ জুন এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আগামী ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে।


পদ্মা সেতু দেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেলসেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে।

দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়কপথ এবং নিচের স্তরটিতে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানো হয়। ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের এ সেতু।


খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ায় সম্ভাবনা আর প্রত্যাশার নতুন দিক উন্মোচিত হলো।

 

এই বিভাগের আরও খবর