বন্যা পরিস্থিতিতে সরবরাহ কম, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি
স্বস্তি ফিরছে না নিত্যপণ্যের বাজারে। এক সপ্তাহ স্থিতিশীল থাকার পর আবারও বাড়তি চালের দাম। বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। আর সপ্তাহ ব্যবধানে কিছু সবজির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা। বন্যা পরিস্থিতিতে সরবরাহ কম বলছেন বিক্রেতারা।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতিতে যখন সংকটে সাধারণ মানুষ, তখন ফসল নষ্টের পাশাপাশি অসাধু চক্রের কৌশলে কৃত্রিম ঘাটতিতে আবারও নাভিশ্বাস অবস্থা নিত্যপণ্যের বাজার।
গত সপ্তাহেও চালের দাম স্থিতিশীল ছিল পাইকারি ও খুচরা বাজারে। কিন্তু এ সপ্তাহে চালের দাম আবারও লাগামছাড়া।
শুক্রবার (২৪ জুন) রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীরা জানান, বস্তাপ্রতি চালের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে ব্রি-২৮ ৫৪ থেকে ৫৫, মিনিকেট ৬৮ থেকে ৭০, স্বর্ণা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। দাম আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
এদেরকে বন্যা পরিস্থিতিতে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রভাব পড়ছে সবজি বাজারে। সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে কম বেশি সব সবজিতেই। সংকটের কারণে বাড়তি দামে অন্য সবজির পাশাপাশি প্রতিকেজি বেগুন ও শশার দাম উঠেছে একশ টাকায়। মৌসুম না হওয়ায় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি।
অন্যদিকে কোরবানির ঈদে মসলা হিসেবে পেঁয়াজের তুলনা নেই। তাই আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে চড়া হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার। কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাজা বেড়ে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি।
এছাড়া বাজারে মাছ ও মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।