img

বিশ্বে করোনার তাণ্ডব সামাল দিতে কোভিড টিকা আবিষ্কার করতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে বিজ্ঞানীদের। অনেক চেষ্টার পর কোভিড টিকার আবিষ্কার হলে তা মানুষের মনের নানা সংশয় দূর করতে সমর্থ হয় অচিরেই। দেরি হলেও এই টিকা বা ভ্যাকসিন কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছে। যার তথ্যসহ প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে আন্তর্জাতিক একটি প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার তথ্যানুযায়ী, আজ শুক্রবার দ্য ল্যানসেট ইনফেকশন ডিজিজ-এ প্রকাশিত ওই গবেষণা রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় নানা তথ্য। এসব সংগৃহীত তথ্য ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলের ডেটার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।


ব্যাপক পরিসরে মডেলভিত্তিক এ সমীক্ষায় কোভিড-১৯ টিকাদানের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ঠেকানো মৃত্যুর সংখ্যা অনুমান করার চেষ্টা করা হয়েছে, যা বিশ্বে এটিই প্রথম প্রচেষ্টা।

গবেষণাধর্মী এ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভ্যাকসিন পাওয়া না গেলে ৩১.৪ মিলিয়ন লোকের মৃত্যুর আশঙ্কার কথা। কিন্তু বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে চিকিৎসকদের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পৌঁছানো সম্ভব হওয়ায় প্রায় ১৯.৮ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

এতে মৃত্যুর হার ৬৩ শতাংশ হ্রাসও পেয়েছে। এই হিসাব নিখুঁত করার জন্য প্রতিটি দেশের  সরকারি পরিসংখ্যান কিংবা সরকারি তথ্যে মৃত্যুর সংখ্যা যাচাই করার পাশাপাশি সরকারি হিসাব ছাড়াও অনুমিত বাড়তি মৃত্যুর হিসাব ব্যবহার করা হয়েছে।
 

রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, মহামারির সংকটলগ্নে কোভিড ভ্যাকসিন মানুষের কাছে পৌঁছানোর কারণে মাত্র প্রথম বছরেই তা সারা বিশ্বে প্রায় ২ কোটি লোকের প্রাণহানি রোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। করোনার কারণে মানুষের অকালমৃত্যুকে প্রতিহত করতে এখনো কোভিড ভ্যাকসিন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর