img

নোয়াখালীর চাটখিলে সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া এক কিশোরীর (১৩) বাল্যবিবাহ বন্ধের দাবিতে লাল পতাকা হাতে বিক্ষোভ করেছে সহপাঠীরা। এ সময় উপজেলা প্রশাসন ওই কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়।

বুধবার (২২ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার ৪ নম্বর বদলকোট ইউনিয়নের মধ্য বদলকোট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম মোসা।
 

তিনি বলেন, বদলকোট ইউনিয়নের দারুল ইসলাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হচ্ছে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ওই কিশোরীর সহপাঠীরা তার বিয়ের খবর শুনে লাল পতাকা হাতে ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধের দাবিতে তার বাড়িতে বিক্ষোভ করে।

ইউএনও আরও বলেন, ‘থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য নিয়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হই। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কম বয়সে বিয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে কনের বাবাকে দুই হাজার ও বরপক্ষকে আট হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দেয় তার পরিবার।’


এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, মানুষ আরও সচেতন হলে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। একই সঙ্গে উপস্থিত সবাইকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করার সঙ্গে সঙ্গে বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটলে তাকে অবহিত করার অনুরোধ করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর