img

 জীবন মানেই উত্থান-পতন। হোক সে তারকা বা সাধারণ কেউ। চাকচিক্যে ভরা জীবন দেখে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়, সব সময়ই এমনই ছিলেন। নাতাশা সুরি। বলিউডের সাবেক এই মিস ইন্ডিয়ার জীবনেও রয়েছে এমন কিছু উত্থান-পতনের অধ্যায়।

শুরুর জীবনটা তার এত মসৃণ ছিল না।  ২০০৬ সালে মিস ইন্ডিয়া হওয়ার আগে একটা ভালো পোশাক পর্যন্ত ছিল না তার। জীবনযুদ্ধের গল্পটা ঠিক এভাবেই সাক্ষাতকারে তুলে ধরেছেন এই মডেল ও অভিনেত্রী। থাকতেন ভাঙ্গা একটি বাড়িতে। বাবা ছাড়া জীবন ছিল দুর্বিসহ। পরিবারে ছিল মা, নানী ও তিন বোন। শৈশব থেকেই কষ্ট ও অনাহারে কেটেছে জীবন।  টুকটাক কাজ করা ছাড়া টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না, তাই তো সংসারের হাল ধরেছিলেন তার মা।

নাতাশারও মা-ও ছিলেন একজন অভিনেত্রী। তবে তেলেঙ্গানা থেকে তিন মেয়েকে নিয়ে মুম্বাইতে এসে বিপদেই পড়েন তিনি। জানতেন না ভাষা, এটা ওটা কাজের পাশাপাশি দুটি দক্ষিণী ছবিতে কাজের সুযোগ মেলে তার। আর সেই সূত্রেই রূপালি জগতে ঢুঁ মারার সুযোগ জোটে নাতাশাদের। তবে মিস ইন্ডিয়া হওয়ার পর ভাগ্যের দরজা খুলে যায় তাদের।

ফেমিনা মিস ওয়ার্ল্ড ইন্ডিয়া হওয়ার সময় কানাকড়িও ছিল না। দামি কোনও জামা-জুতোও ছিল না। বন্ধুদের কাছ থেকে কিছু চকচকে পোশাক ধার করতে হয়েছিল। তবে অতটা দুঃখবোধ ছিল না। ছিল শুধু নিজের ওপর বিশ্বাস। সেই আত্মবিশ্বাসেই দৃঢতার সাথে বলিউডে জায়গা করে নিয়েছেন। ২০১৬ সালের মালায়ালাম ছবি ‘কিং লিয়ার’। এরপর ২০২০ সালের ওয়েব সিরিজ ‘ডেঞ্জারাস’-এ গৌরি চরিত্রে অভিনয় করেও সাড়া পান নাতাশা।

সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা 

এই বিভাগের আরও খবর